দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বাম গণতান্ত্রিক জোটের পূর্বঘোষিত হরতালের সমর্থনে পল্টন মোড়ে অবস্থান নিয়েছে গণতান্ত্রিক বামজোট। হরতালে নেতাকর্মীদের আটক ও হামলার অভিযোগ তুলেছে জোট। সোমবার (২৮ মার্চ) সকাল ৬টা থেকে রাজধানীর বিভিন্ন মোড়ে অবস্থান কর্মসূচি, বিক্ষোভ মিছিলের মাধ্যমে এই হরতাল পালন শুরু করে বাম দলগুলো। এসময় বাম গণতান্ত্রিক জোটের শরিক দল সিপিবি, বাসদ, গণসংহতি আন্দোলন, বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে এসে পল্টন মোড়ে জড়ো হয়। এসময় মোড়ে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, জনগণের ব্যাপক স্বতস্ফুর্ত সম’র্থনের ভিত্তিতে আমাদের নেতাকর্মীরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সকাল ৬টা থেকে এই হরতাল পালিত হচ্ছে। এই হরতাল ইতোমধ্যে মানুষের মন জয় করেছে। কারণ এটা জন দাবির হরতাল। মানুষকে বাচানোর হরতাল।
গতকাল রাত থেকেই বাম নেতাকর্মীদের গ্রে’প্তা’র অ’ভিযোগ করে তিনি বলেন, দেশের ১৪-১৫টা জে’লা থেকে ইতোমধ্যে খবর পেয়েছি, আমাদের প্রায় ২০ জন নেতাকর্মীদের গ্রে’প্তা’র ও তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আজ সকালেও ঢাকা, নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় হরতাল সম’র্থনকারীদের উপর দফায় দফায় হা’ম’লা করা হচ্ছে। তবে দেশের মানুষ এই হরতালকে নিজের আকাঙ্ক্ষার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে দেখছে বলে দাবি করেন তিনি।
গণসংহতির প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, দেশের মানুষের বর্তমান অবস্থা থেকে মুক্তি দিতেই এই হরতাল কর্মসূচি। মানুষ তার অধিকার আদায়ে রাস্তায় নেমেছে। নতুন ঐক্যের সূচনা ঘটেছে। এই ঐক্য আরও ব্যাপক রূপ লাভ করবে। এই সরকারের পায়ের নিচের মাটি সরে গেছে। এই মাটি সরে যাওয়া সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামানোই আমাদের উদ্দেশ্য।
বাম জোটের হরতালকে কেন্দ্র করে পু’লিশ বাহিনীর সদস্যরা পল্টনমোড়ে অবস্থান নিয়েছে। হরতাল বা গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে পু’লিশ কেন বাঁ’ধা দিচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে মতিঝিল বিভাগের উপ-পু’লিশ কমিশনার (ডিসি) মো. আব্দুল আহাদ বলেন, এ বিষয়ে এখনই কোনও বক্তব্য দিতে পারবো না।