কেন্দুয়া প্রতিনিধিঃ
নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার পাইকুড়া ইউনিয়নের বাড়লা বড় মসজিদের ইমাম তাজুল ইসলামকে পঞ্চম শ্রেণীর এক ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে আটক করেছে কেন্দুয়া থানার পুলিশ।
আটক হওয়া ইমামের বাড়ি পাশ্ববর্তী কিশোরগঞ্জ সদর থানার সফিলা গ্রামের মিলন মিয়ার ছেলে তিনি।
স্থানীয়দের বরাদ দিয়ে কেন্দুয়া থানার পুলিশ বলেন, আটক হওয়া তাজুল ইসলাম ৫/৬ মাস ধরে কেন্দুয়া উপজেলার পাইকুড়া ইউনিয়নের বাড়লা বড় মসজিদে ইমামের দায়িত্ব পালন করতেন, পাশাপাশি একই এলাকার আয়শা সিদ্দিকা মহিলা মাদ্রাসায় সকালে বাচ্চাদের মক্তব পড়াতেন। এলাকার কেনু মিয়ার বাড়িতে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন।
প্রতিদিনের মত রোববার (২৭ মার্চ) সকালেও এলাকার ছোট ছোট বাচ্চারা ওই মাদ্রাসায় মক্তব পড়তে যায়।
সকালের মক্তব পড়ার শেষে সকল বাচ্চাদের ছুটি দিয়ে ভিকটিম ও অন্য একজন ছাত্রকে ইমাম তাজুল ইসলাম বলেন, পাশের বাড়ি থেকে সকালের খাবার এনে দিতে।
ইমাম তাজুল ইসলামের কথা মত ভিকটিম ও তার সহপাঠী পাশের এক বাড়ি থেকে খাবার নিয়ে কেনু মিয়ার বাড়িতে আসার পর ঘরে দরজা বন্ধ করে দেন ইমাম তাজুল ইসলাম। পরে ভিকটিম ও তার সহপাঠীকে ইমাম বলেন তার হাত পা, টিপে দিতে।
এক পর্যায়ে ইমাম ভিকটিমকে ইমামের ঘরে রেখে ভিকটমের সহপাঠীকে বলে পাশের ঘরে চলে যেতে। এরপর ইমাম তাজুল ইসলাম ভিকটিমকে বলাৎকার করে।
পরে ভিকটিম তার পরিবারে লোকজনকে জানালে এলাকার লোকজন ওই মসজিদে ইমামকে আটক করে পুলিশকে খবর দেয় পরে পুলিশ ইমামকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে।
এ বিষয়ে কেন্দুয়া পুলিশ ফাঁড়ির এস আই সুমন তালুকদার বলেন, স্থানীয়রা প্রথমে ইমামকে আটক করে খবর দেয় পরে। আমরা তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসি। পাশাপাশি ভিকটিমকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আশা হয়েছে।
কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহ নেওয়াজ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দৈনিক বাংলার অধিকার কে বলেন, ভিকটিমকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসা করে জানা যায়, মসজিদে ইমাম তাজুল ইসলাম ভিকটিমকে বলাৎকার (ধষর্ণ) করেছেন। ভিকটিমের মেডিকেল পরীক্ষা এবং পরিবারের লিখিত অভিযোগের প্রক্ষিতে আইন গত ব্যবস্থা নেয়া হবে।