রাজধানীর ডেমরায় ভাগিনার চিকিৎসার জন্য রাখা ১০৩০ টাকা চুরি করতে বোনের ঘরে এসে রবিন (৩৮) নামে এক ব্যক্তি তার আপন ভাগিনা মো. ওমর ফারুককে (১৭) শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মৃতের মা কুলসুম বেগম (৪০) বৃহস্পতিবার সকালে ডেমরা থানায় তার আপন ভাই রবিনের বিরুদ্ধে খুন করার অপরাধে মামলা করেন।
বর্তমানে রবিন পলাতক রয়েছে। বুধবার সন্ধায় ছোট পাইটি এলাকার হাবিবুর রহমানের পশ্চিম পাশের বাড়ী থেকে মৃতের লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়না তদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায় ডেমরা থানা পুলিশ।
ওই দিন দুপুর থেকে বিকালের যে কোন সময় মামার হাতে শ্বাসরোধে রবিন খুন হয় বলে পুলিশের প্রাথমিক ধারনা। রবিন বি-বাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর থানার নতুন আডি এলাকার মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে। নিহত ওমর ফারুক একই এলাকার আব্দুল আউয়ালের ছেলে। তারা ডেমরার ছোট পাইটি এলাকার ভাড়াটিয়া।
মৃতের পরিবারের বরাতে বিষয়টি নিশ্চিত করে ডেমরা থানার ওসি খন্দকার নাসির উদ্দিন বলেন, নিহত ওমর ফারুক ও তার মা কুড়ানো ভাঙ্গারি মালামাল বিক্রি করে সংসার চালাতেন। গত ১ মাস আগে ভাঙ্গারি কুড়াতে গিয়ে দুই পা আগুনে পুড়ে যায় ওমর ফারুকের। এতে কুলসুম বেগম চিকিৎসার জন্য ১০৩০ টাকা মানুষের কাছে সাহায্য নিয়েছেন যা জানতে পারে রবিন। কয়েকদিন আগে ওই টাকা চুরি করতে আসলে রবিনকে দেখে ফেলেন কুলসুম।
এ সময় বকাঝকা করে তাকে বের করে দেয়া হয়।
ওসি আরও বলেন, গত (২৩ মার্চ) বুধবার সকালে অসুস্থ ছেলেকে ঘরে রেখে বাইরে থেকে তালা দিয়ে কুলসুম আবারও সাহায্যের টাকা যোগাড় করতে বের হয়ে যান। ওইদিন বিকাল ৩ টার দিকে রবিন তার বোনের ঘর থেকে বের হয়ে যান বলে কুলসুমকে ফোন করে জানান প্রতিবেশি মাহমুদা বেগম।
এ খবর পেয়ে দ্রুত ঘরে ফিরে এসে কুলসুম দেখেন তার ঘরে তালা দেওয়া থাকলেও টিনের ঘরের দরজার পাশে ফাঁকা। এ সময় ডাকাডাকি করে সাড়াশব্দ না পেয়ে ঘরে প্রবেশ করে ওমর ফারুককে মৃত অবস্থায় বিছানায় পড়ে থাকতে দেখেন তার মা। রবিনকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে বলেও জানান ওসি খন্দকার নাসির উদ্দিন।