চাঁদপুর শহরে আবারো কিশোর গ্যাং সদস্যরা মাথাচারা দিয়ে উঠেছে। তারা কখনও সিনিয়র-জুনিয়র, কখনও খেলাধুলা, কখনও মেয়ে সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে চাঁদপুরের শান্ত শহরকে আবারও অস্থিশীল করছে কিশোর গ্যাং এর সদস্যরা। এর আগে ঘটে যাওয়া বেশকিছু সংঘটিত মারামারির কারনে পুলিশের জোড়ালো ভূমিকার কারণে বেশকিছু দিন বন্ধ থাকার পর গত দুই দিন ধরে হঠাৎ করে সক্রিয় হয়ে উঠেছে তারা। তারই ফলশ্রুতিতে পুনরুত্থান ঘটেছে বিগতদিনের মত ঘটে যাওয়া মারাত্মক অস্ত্র ব্যাবহারের মত ঘটনা। এমনকি তারা মারামারি করে যাওয়ার সময় অস্ত্র উঁচিয়ে এবং রাস্তায় ঘষাঘষি করে এক ভয়ংকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ঘটনাস্থল ত্যাগকরে।শহরের মেথা রোড,জোরপুকুর পাড়,প্রেসক্লাবসড়কের কিছু বাসিন্দাদের সাথে কথা বললে তারা জানান এই এলাকাগুলোতে ছোটো ছোট ছেলেমেয়েরা প্রায়সময় চিপাগলিতে ঘুরাফেরা করতে দেখাযায় বিভিন্নসময় তারা অসামাজিক কার্যকলাপে যুক্ত হতে দেখাযায়।তাদেকে ডাকদিলে উলটো ধমক খেতে হয়।।তারা ডেমকেয়ার নিতিতে চলাফেরা করে।এ ব্যাপারে প্রশাসনের জোড়ালো ভূমিকা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। এদিকে,পুলিশের অভিযানে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের আটক করে থানায় নিয়ে আসা হলে অভিভাবক ও রাজনৈতিক নেতাদের তদবিরে বিপাকে পড়তে হয় বলে অভিযোগ করেন এক পুলিশ সদস্য। উঠতি বয়সের তরুণরা স্বল্পমূল্যে দোকান থেকে অস্ত্র ক্রয় করে নিজেদের প্রয়োজনে ব্যবহার করছে বলে জানান ভুক্তভোগী পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা। সম্প্রতি গত
২১ মার্চ সোমবার সন্ধ্যায় শহরের মেথা রোড বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ২ শিক্ষার্থীকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়।
আহতরা হলেন শহরের জোড়পুকুর পাড় এলাকার খালিদুর রহমানের ছেলে ফাহিম (১৭) ও অপর সহপাঠি সিয়াম (১৭)। তারা দুই জনেই চাঁদপুর আল-আমিন একাডেমী স্কুল এন্ড কলেজের একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী। ফাহিম চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আর সিয়াম প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে চলে যায়।
জানা যায়, সিনিয়র-জুনিয়র নিয়ে চাঁদপুর শহরের প্রেসক্লাব ঘাটের ডাকাতিয়া নদীর পাড়ে ২০ মার্চ রোববার দুপুরে মোরছালিন নামের এক যুবককে কুপিয়ে রক্তাক্ত যখম করা হয়। পরের দিন সোমবার সন্ধ্যায় একই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফাহিম (১৭) ও সিয়াম নামের দুই যুবককে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়। ফাহিমের পিঠে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কয়েকটি কোপ দেওয়ায় তার অবস্থা বেগতিক। এ ব্যাপারে
কয়েকজন অভিভাবকের সাথে কথা হলে তারা জানান, শহরের ১ থেকে ৯৯ টাকার, ৩০০ টাকার মার্কেটসহ বিভিন্ন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে উঠতি বয়সের যুবকদের কাছে স্বল্পদামে দেশীয় ধারালো অস্ত্র বিক্রয় করা হচ্ছে। চাঁদপুরের সাবেক এসপি শামসুন্নাহারের সময়ের কয়েকটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করে ও কিছু দেশীয় অস্ত্র জব্দ করার তিনি সর্তক করে দেন। তখন কিছু দেশীয় অস্ত্রের প্রভাব হ্রাস পেলেও বর্তমানে তা আবার বেড়ে গেছে। প্রশাসনের পুনঃরায় নজরদারি করার প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবার ও সাধারণ মানুষ। এ ব্যাপারে
চাঁদপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুর রশিদ জানায়, সন্তানরা কোথায় কার কাছে, কার সাথে মেলামেশা করছে অভিভাবকরা খেয়াল রাখতে হবে কোন ধরনের আবেগী কান্না গ্রহণযোগ্য হবে না। কিশোর গ্যাং নির্মূলে পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে আছে বলেও তিনি জানান।