কচুয়া উপজেলার ১১নং গোহট দক্ষিণ ইউনিয়নের গোহট গ্রামের এক ভূমি দস্যু কৃষি ফসলীয় মাঠের পাশে অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে বালি উত্তোলনের পায়তারার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোকারী গোহট গ্রামের সফল কৃষক হাজী সৈয়দ আহম্মদ (মনু হাজীর) পুত্র মফিজুল ইসলাম বাবুল একই ইউনিয়নের পাড়াগাঁও গ্রামের মৃত আলী আহম্মদ পাটওয়ারীর ছেলে শামীম পাটওয়ারী কে অভিযুক্ত করে গাতকাল সোমবার ২১ মার্চ চাঁদপুর জেলা প্রশাসক বরাবরে নাগরিক সেবা কেন্দ্রে এ অভিযোগ দাখিল করে। অভিযোগটি হুবহ তুলে ধরা হলোঃ
আমি অভিযোগকারী আইনের প্রতি খুবই শ্রদ্ধাশীল। আমার পরিবারের সদস্যদের এবং অসহায় এলাকাবাসীর জীবিকা নির্বাহের একমাত্র সম্ভল গোহট মৌজার বিশাল একটি চাষাবাদের কৃষি জমির মাঠ। অভিযুক্তকারী একজন অর্থ-ভিত্ত প্রভাবশালী দুর্নীতিবাজ প্রকৃতির লোক বটে। আইনের প্রতি কোনো শ্রদ্ধা নেই তার। সে রহিমানগর বাজারে পাটওয়ারী ট্রেডার্স নামে বড় মাপের রড সিমেন্ট ব্যবসায়ী। আর এ মুখোশের আড়ালে ভূমি দস্যু ব্যবসায়ীও বটে। কিছুদিন আগে তার গ্রামের বাড়ীতে অবৈধ ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালি উত্তোলনের মধ্যে বিক্রী করেছে। এতে করে আশ-পাশের বাড়ী এবং কৃষি জমি ভেঙ্গে থেবে যাওয়ার আশংকায় ভুক্তভোগীরা স্থানীয় সহকারী ভূমি কর্মকর্তা কে অবগত করলে তিনি তাৎক্ষনিক সরজমিনে গিয়ে এর সত্যতা দেখতে পেয়ে প্রথমে তাকে অবৈধ ড্রেজার তুলে নেয়ার জন্য বলা হলেও সে তা সরিয়ে না নেয়ায় পূনরায় এ কর্মকর্তা সরজমিনে গিয়ে পাইপ কেটে উচ্ছেদ করে। এছাড়াও অভিযুক্তকারী বেশ কয়েক বছর পূর্বে একই গ্রাম মৌজা এলাকায় প্রায় ১ একর কৃষি জমি স্বল্প মূল্যে ক্রয় করে পরবর্তীতে চাঁদপুর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির কচুয়া (২) উপকেন্দ্রের নিকট প্রায় ৫০ শতক ভূমি অধিক মূল্যে বিক্রী করে এবং অবশিষ্ট ৫০ শতক জমি থেকে ডেকু দিয়ে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে মাটি কেটে স্থানীয় একটি ব্রীকফিল্ডে বিক্রী করে। এ ভাবে সে আরো একাধিক কৃষি জমি ক্রয় বিক্রয়ের মধ্যে ভূমি দস্যুতার দুর্নীতির ব্যবসা করে আসছে।
সম্প্রতিতে জানতে পারলাম, ওই ভূমি দস্যু ব্যবসায়ী একই এলাকা মৌজার দেড় একর মৎস্য চাষাবাদী জমি ক্রয় করে অবৈধ ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালি উত্তোলনের মধ্যে তার ওই উল্লেখিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উত্তর পাশে ব্রীকফিল্ডে মাটি বিক্রী করার গর্ত ভরাট করে স্থানীয় ১১ নং গোহট দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের নতুন ভবন স্থাপনের জন্য সরকারের কাছে বিক্রী করার পায়তারা করছে।
উল্লেখিত দেড় একর মৎস্য চাষাবাদী জমির দক্ষিণ পাশেই আমার পিতার তথা আমাদের প্রায় ১০ একরের উৎপাদিত ফসলী জমিসহ আশপাশ মানুষের বিশাল কৃষি জমি মাঠের চৌতুর দিকে বহু বসতির ঘরবাড়ি ও জনপথের সড়ক রয়েছে। যদি এখানে বালি উত্তোলনের অবৈধ ড্রেজার মেশিন বসানো হয় তাহলে অভিযোগকারীর পরিবারেরসহ এলাকার সাধারন মানুষের ভূমি ও যান চলাচলের পথ ভেঙ্গে থেবে মারাত্মক ক্ষতিসাধিত হবে। অভিযুক্ত ভূমি দস্যুর এই পায়তারা যদি বাস্তবে রূপ নিতে সরজমিনে আসে তাহলে এখানে আইন শৃংখলা বিঘ্ন ঘটার আশংকা রয়েছে।
অভিযোগ বিষয়ের আলোকে সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্ত ভূমি দস্যু দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে আইনগত কঠোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনসহ অবৈধ ড্রেজার বসানোর পায়তারা বন্ধের জন্য জেলে প্রশাসক বরাবরে এ অভিযোগ দাখিল করেন।
অভিযোগকারী বিষয়টি সদয় অবগতির জন্য রেজিষ্ট্রি ডাক যোগে অনুলিপি প্রেরন করেন, যথাক্রমে ভূমি মন্ত্রী, ভূমি মন্ত্রনালয় ঢাকা, আইনমন্ত্রী আইন মন্ত্রনালয় ঢাকা,
মহাপুলিশ পরিদর্শক (আইজিপি) বাংলাদেশ পুলিশ, চট্রগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার,চেয়ারম্যান/কমিশনার দুর্নীতি দমন কমিশন, পুলিশ সুপার চাঁদপুর, উপজেলা নির্বাহী অফিসার কচুয়া চাঁদপুর, অফিসার ইনচার্জ, কচুয়া থানা চাঁদপুর, ১১নং গোহট দক্ষিন ইউনিয়ন সহকারী (ভূমি) কর্মকর্তা রহিমানগর কচুয়া চাঁদপুর, চেয়ারম্যান ১১নং গোহট দক্ষিন ইউনিয়ন পরিষদ কচুয়া চাঁদপুর ও সভাপতি/সাধারন সম্পাদক প্রেসক্লাব কচুয়া চাঁদপুর, বাংলাদেশ।