লৌহজং এ অবৈধ ভাবে চলছে আইসক্রিম ফ্যাক্টরির রমরমা বাণিজ্য
মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ে অসাধু উপায়ে অস্বাস্থ্যকর নোংরা পরিবেশে তৈরি হচ্ছে শিশু খাদ্য আইসক্রিম।
এসব আইসক্রিম খেয়ে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পরতে পারে শিশুরা। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি তারা এসব অসাধু বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে।
সরেজমিনে উপজেলার ঘোলতলী সরলতা আইসক্রিম ফ্যাক্টরিতে গিয়ে দেখা যায়, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ভেজাল উপকরণে তৈরি করা হচ্ছে এসব আইসক্রিম। এসব আইসক্রিম তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে পাউডার দুধ, চিনির পরিবর্তে ঘণ চিনি, বিভিন্ন ধরনের রঙ ও ক্যামিক্যাল মিশানো হচ্চে। ফ্যাক্টরির ভিতরে গিয়ে আরো দেখা গেছে, হাত পা, মুখের ঘাম, ময়লা পানি, ঘন চিনি, পা দিয়ে মাখানো আটা, ড্রাম বিভিন্ন কালারের রং ইত্যাদি দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে এ সকল ভেজাল আইসক্রিম। এছাড়াও সেখানে দই আইসক্রিম এর নাম দিয়ে এরসাথে আরো তৈরি করছেন চাটনী, জুস, ফ্রুট ড্রিংস, বিভিন্ন ফ্লেভারের পানীয়।
কারখানা পরিচালনার জন্য তারকাছে কোনো সরকারি অনুমতিপত্র পাওয়া যায়নি। পরিবেশ ছাড়পত্র, বিএসটিআই এর অনুমতি এমনকি ট্রেড লাইসেন্স ছাড়াই চালিয়ে যাচ্ছে তার রমরমা বাণিজ্য।
সরলতা আইসক্রিম ফ্যাক্টরির মালিক তপন দাস বলেন, করোনার কারনে আমাদের ফ্যাক্টরি দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল। নতুন করে আবার শুরু করা হয়েছে, সবকিছু পরিস্কার করা হচ্ছে। যতটুকু সম্ভব পরিস্কার রেখেই আইসক্রিম উৎপাদন করছি।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, কারখানাটিতে দীর্ঘ ৪বছর যাবত তৈরি করা হচ্ছে এসকল ভেজাল আইসক্রিম, চাটনী, ফ্রুট ড্রিংস সহ আরো কয়েকটি আইটেম। যার কোনোটিরই নেই সরকারি অনুমোদন। স্থানীয়রা আরো বলেন, ভিতরে তারা কিভাবে বানায় সেগুলো তো আমাদের দেখতে দেয়না তাই আমরা বুঝতে পারিনা এগুলো ভালো নাকি মন্দ। এলাকার সাধারণ জনগণ এসব অস্বাস্থ্যকর নোংরা পরিবেশে আইসক্রিম তৈরির কারখানা গুলো বন্ধ করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এবিষয়ে লৌহজং থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল তায়েবীর বলেন, এ ব্যাপারে আমি তেমন কিছু জানিনা। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
লৌহজং উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল আউয়াল বলেন, এবিষয়ে আমাদের জানা নেই, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আমরা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মুন্সিগঞ্জ সহকারি পরিচালক আসিফ-আল আজাদ প্রতিবেদক কে বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিলোনা। খুব দ্রুত অভিযান চালিয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মুন্সিগঞ্জ জেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর মো. গাজী আমিন বলেন, এই কারখানাটির ব্যাপারে একবার পরিদর্শনে যাওয়া হয়েছিল কিন্তু তখন বন্ধ থাকায় তাদের পাওয়া যায়নি। এখন আবার আমরা আমাদের যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করব।