মনের রং আর আবিরে রঙ্গে রাঙ্গিয়ে একজন আরেক জনকে রং মাখিয়ে দোল পূর্ণিমা আনন্দে মেতে উঠেছে, সকল সনার্তন ধর্মাবলম্বী রা।তেমনি ভাবে চাঁদপুরের কচুয়া পৌরসভা ৫নং ওয়ার্ডের শ্রীশ্রী কড়ইয়া সার্বজনীন হরি মন্দিরে মহাহরি নাম কীর্তনের শেষ দিন ও দোল পূর্ণিমা বিভিন্ন আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে। এদিকে ২৪প্রহর ব্যাপী ১৪তম মহাহরি নাম কীর্তনে শেষ দিন ছিল খুবই আনন্দ ময় ও উৎসব মূখর পরিবেশে হাজারো ভক্তের আগমনে এর আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হচ্ছে। দুপুরে মহা ভোগ নিবেদন ও মহা প্রসাদ বিতরণ মধ্য দিয়ে চলমান রয়েছে। শনিবার ভোরে নগর কীর্তন মধ্য দিয়ে এর সমাপ্তি হবে।এছাড়াও
আজ দোল পূর্ণিমা
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব দোল পূর্ণিমা বা হোলি উৎসব আজ। বাংলাদেশে এই উৎসবটি ‘দোলযাত্রা’ নামেও পরিচিত। দোলযাত্রা ও গৌর পূর্ণিমা উপলক্ষে আজ সারা দেশে বিভিন্ন মন্দিরে পূজা, হোম যজ্ঞ, প্রসাদ বিতরণসহ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। তবে করোনা সংক্রমণ রোধে উৎসব সীমিত পরিসরে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে উদযাপন করা হবে।একই ভাবে চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলাসহ বিভিন্ন স্থানে এই দোল পূর্ণিমা পালিত হয়েছে। এই উৎসবে ঠাকুরের পায়ে আবির দিয়ে জগতের মঙ্গল কামনা করেন পুরোহিত। এ সময় উলুধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে মন্দির প্রাঙ্গণ। সারা দেশে বিভিন্ন মন্দিরে পূজা, হোমযজ্ঞ ও প্রসাদ বিতরণ করা হয়।
দোলযাত্রা হিন্দু বৈষ্ণবদের উৎসব। বৈষ্ণব বিশ্বাস অনুযায়ী, দোলা পূর্ণিমা বা ফাল্গনী পূর্ণিমার দিনে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বৃন্দাবনে রাঁধিকা এবং তার সখীদের সঙ্গে আবির খেলেছিলেন। সেই ঘটনা থেকেই দোল বা আবির খেলার উৎপত্তি। এ কারণে দোলযাত্রার দিন এ মতের বিশ্বাসীরা রাঁধা-কৃষ্ণের বিগ্রহ আবিরে রাঙিয়ে দোলায় চড়িয়ে নগর কীর্তনে বের হন। এ সময় তারা পরস্পরের সঙ্গে রং খেলার আনন্দে মেতে ওঠেন। এ উৎসবকে বসন্ত উৎসবও বলা হয়।
প্রসঙ্গত, দ্বাপর যুগ থেকে পুষ্পরেণু ছিটিয়ে রাঁধা-কৃষ্ণ দোল উৎসব করতেন। সময়ের বিবর্তনে পুষ্পরেণুর জায়গা দখল করে নিয়েছে ‘আবির’। এই দিনে একে অপরকে আবিরের রঙে বাঙিয়ে দেন।