চাঁদপুরবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে চাঁদপুর লক্ষীপুর ও শরিয়তপুর বাসী এবং বাংলাদেশের রিজিওনাল সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে অবশেষে মতলব- গজারিয়ার মেঘনা নদীর ওপর নির্মাণ করা হচ্ছে দেশের বৃহত্তম ঝুলন্ত তার ব্রিজ। চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার বেলতলিও মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়ায় মেঘনা নদীর স্বল্প দুরত্বের স্থানে এটি নির্মাণ করা হবে।
গত ১৫ ই মার্চ বিকাল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর সভা কক্ষে Consultant Team এর সাথে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত বৈঠকে সেতুটি নির্মাণ এর জন্য সেতু বিভাগের উপসচিব ভিখারুদ্দৌলা চৌধুরী সম্ভব্যতা জরিপ ও ব্রিজ ডিজাইন Consultants ব্রিজের চারটি স্থানের ম্যাপ ও ব্রিজ নকশার প্রাথমিক কপি প্রতিমন্ত্রী মহোদয়কে প্রদান করেন। অতঃপর প্রতিমন্ত্রী ব্যয় কম ও সৌন্দর্য বিবেচনায় ২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য নকশায় সম্মতি প্রদান করেন এবং যত দ্রুত সম্ভব উন্নয়ন প্রকল্প তৈরির জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে নির্দেশনা দেন এবং ভিখারুদ্দৌলা চৌধুরীকে এ বিষয়ে দায়িত্ব পালন এর জন্য ধন্যবাদ দেন।
সুত্রে জানা যায়, নদীকে বাচাতে নদীর দুই পাড়ে দুটি প্রধান পিলার নির্মাণ করা হবে। নদী বক্ষ থেকে ৩০ মিটার উচু দৃষ্টি নন্দন ঝুলানো তার ব্রিজটি চার লেইনে নির্মান করা হবে। এটিই হবে বাংলাদের প্রথম দীর্ঘ তার ঝুলানো ব্রিজ। যা আলোকিত অবস্থায় ৭০ – ৮০ কিলোমিটার দূর থেকে দৃশ্যমান হবে। নির্মিত হলে এটি দেশের সর্ববৃহৎ তার ঝুলানো সেতু হিসাবে পরিচিতি পাবে।
মূলত, সর্বোচ্চ কম খরচে সেতুটি নির্মাণ এর জন্য প্রাথমিক নকশা চুরান্ত করা হয়েছে। নদীর সবচেয়ে কম প্রশস্ত এলাকা চিহ্নিত করে নকশা প্রনয়ণ করা হয়। এছাড়া বসতবাড়ি যাতে কম ভাঙা পরে সে বিষয়টি বিবেচনায় রেখেই নকশা প্রনয়ণ হয়েছে । জানা যায়, উল্লেখিত নকশা অনুযায়ী বসতবাড়ি কম ভাঙা পড়বে।
আরো জানা যায়, তিনটি রিজিওনাল সেতুর নকশা প্রনয়ণ এ-র জন্য বৈঠকে বসলেও এ সেতুটি নির্মাণ এর নকশা টি সবার আগে চুরান্ত করা হয়।
মতলব ও গজারিয়ার মেঘনা নদীর ওপর সেতু নির্মাণ হলে শুধু চাঁদপুরই নয়, সড়কপথে বৃহত্তর নোয়াখালীর লক্ষ্মীপুরসহ দক্ষিণাঞ্চলের মানুষজন দ্রুত সময়ে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ সিলেটে পৌঁছতে পারবেন।