‘তুমি জন্মেছিলে বলেই জন্মেছিল দেশ,মুজিব তোমার আরেক নাম স্বাধীন বাংলাদেশ’ এ স্লোগান নিয়ে বাঙ্গালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২ তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে ডেমরায় আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়েছে। ডিএসসিসির ৬৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা আরিফুর রহমান আরিফের সভাপতিত্বে ও ওই ওয়ার্ডের হাজী মোয়াজ্জেম আলী ইউনিট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান মিলনের সঞ্চালনায় বৃহস্পতিবার রাতে সারুলিয়া বাজার মা হলি সিটি সেন্টারে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে ভার্চুয়ালী প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির। এ সময় প্রধান আলোচক ছিলেন সাবেক সারুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ৬৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাহমুদুল হাসান পলিন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউনিট আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. ফরিদ, সাধারণ সম্পাদক মাসুম বিল্লাহ, বিনিময় ইউনিট আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মো. অ্যাড. দুলাল, বিশিষ্ট আওয়ামী লীগ নেতা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিক্ত মো. মিজানুর রহমান মিজান, ডেমরা থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আরাফাত হোসাইন সুজনসহ ৬৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও সহযোগী অংগ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এদিকে আলোচনা সভায় ও দোয়া মাহফিলে বঙ্গবন্ধু প্রতি বিন¤্র শ্রদ্ধা জানিয়ে অনুষ্ঠান শেষে দুস্থদের মাঝে তোবারক বিতরণ করা হয়। এর আগে কেক কেটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২ তম জন্মদিন উৎসব আনন্দঘনভাবে পালন করা হয়।
অনুষ্ঠানে ৬৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাহমুদুল হাসান পলিন তার বক্তব্যে বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি ও স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২ তম জন্মদিন আজ। পাকিস্তানি শাসক চক্রের রক্ত চক্ষু উপেক্ষা করে সকল আন্দোলন-সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়ে জাতিকে মুক্তিযুদ্ধের জন্য তৈরি করেছেন তিনি। ১৯৫২, ’৫৪, ’৬২, ’৬৬ এর আন্দোলন আর ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান ’৭০-এর নির্বাচনে বিজয় সবই জাতির সংগ্রামী ইতিহাসের একেকটি মাইলফলক।আর এই সংগ্রামের নেতৃত্ব ও বলিষ্ঠ ভূমিকায় ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ’৬৯ এর গণঅভ্যত্থানের মধ্য দিয়ে কারাগার থেকে মুক্তির পর তিনি বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভূষিত হন।বাঙালির অর্থনৈতিক মুক্তি অর্থাৎ দ্বিতীয় বিপ্লবের ডাক দেন বঙ্গবন্ধু।স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের এই মহান স্থপতিকে মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় মানবতার শত্রু, স্বাধীনতাবিরোধী, দেশি-বিদেশি ঘাতকের চক্র ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে। কিন্তু তারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে হত্যা করতে পারেনি।তিনি ১৫ আগস্টে নিহত সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।