অষ্টম শ্রেণীর পড়ুয়া ননদ প্রেমে পড়েন এক সন্তানের জননী বিপাকে স্বামী মোঃ সাইফুল ইসলাম নারী-নারীর প্রেমে পড়ে ঘর ছাড়ার ঘটনাতো নতুন নয়,যেন অনাবিল নূত্য নতুন খবর।
কিন্তু মেয়ে মেয়ে প্রেমে পড়ে ঘর ছাড়ার ঘটনা কি অধও সম্ভব? হয়ত সম্ভব করতে চেয়েছেন ননদ- ভাবী। এমন একটি অবিশ্বস্য চাঞ্চল্যকর প্রেমের ঘটনা গল্পের মতো রুপ নিয়েছে।
এ ঘটনা ঘটেছে হাজীগঞ্জ উপজেলার ১নং রাজারগাঁও ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের, যানা যায় গত ১২ মার্চ পৃথক ভাবে দুইটি নিখোঁজ ডায়েরী করেন ভাবী ও ননদ পক্ষের লোকজন।
ভাবী-ননদের পারিবারিক সূত্রে মোঃ সাহেব আলী দেনিক বাংলার অধিকার কে মুটোফোনে জানান ,বিবাহিত মেয়েটি আমার ভাতিজা সাইফুলের বউ আর ঐ মেয়েটি আমার দূর সম্পর্কে নাতিন হয়। ঘটনা টি নিয়ে যে চাঞ্চল্যকর ঝড় সূস্টি হয়েছে তা ভাবীর নামের মেয়েটির বক্তব্য কিছুটা ভুলছিলো।
মোঃ সাহেব আলী আরও জানান-একই বাড়ীর বাসিন্দা ননদ হাজীগঞ্জ পৌরসভা এলাকায় বসবাস করতেন
পড়ালেখার সুবাধে শহরে থাকে গ্রামের বাড়ীতে যাওয়া-আসা করে, দুজনের সিদ্ধন্ত মতে চাঁদপুরে বাসা ভাড়া নেয় ভাবী। বিষয়টি বাড়ীতে না বলার কারনে এতো হইচই হয়েছে।
গত ১২ মার্চ রাজারগাঁও ইউনিয়নের দাই বাড়ির এমন একটি ঘটনা ঘটেছে। এক প্রতিবেদনে স্বামী ও পুলিশের তথ্য অনুযায়ী ননদ ভাবীকে চাঁদপুরের একটি ভাড়া বাসায় থেকে আটক করেছে পুলিশ। স্বামীর বক্তব্য ননদ ভাবী তাদের খোঁজ না পেয়ে দুই পরিবারের পক্ষ থেকে পৃথক ভাবে নিখোঁজ ডায়েরী করা হয়।
নিখোজ ডায়েরীর করার পরে ওই রাতেই মোঃ সাইফুল চাঁদপুরের একটি বাসার সন্ধান পেয়ে পুলিশ নিয়ে তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।
আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে চঞ্চল্যকর তথ্য বেড়িয়ে আসে।
চাঁদপুর সদর থানা পুলিশ জানায় জিজ্ঞাসাবাদ করেছি ননদ ভাবী দু’জন দুজনকে বিয়ে করার সিদ্ধান্তে অনড় এমন অবস্থায় আমরা বিপাকে পড়ি।
ননদ ভাবী পুলিশকে জানান-বিয়ে করে সুখের সংসার গড়বে, এমনই স্বপ্ন ছিল তাদের, দুইজনেই নারী।
কিভাবে বিয়ে করে ঘর বাঁধবে এমন প্রশ্নের জবাবে ভাবী জানিয়েছে- (ইতোমধ্যে আমরা দুজন দুজনকে সুখ দিতে পেরেছি), এমন একটি কথা বলে প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন ভাবী? তাহলে দু’জনের মধ্যে হয়ত একজন ছেলে হওয়ার কথা। কয়েক মাস ধরে তাদের এই প্রেম।
ঘন্টাব্যপী তাদেরকে বুঝিয়েশুনিয়ে যোগাযোগ না করার শর্ত সাপেক্ষে তুলে দেয়া হয় পরিবারের কাছে তুলেদেন পুলিশ।