সোনাগাজী উপজেলার চরমজলিশপুর ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর কালী বাড়ী মন্দিরে যাতায়াতের জেলেপাড়া সড়কটি কেটে দেওয়াল নির্মাণ করার কারনে যানচলাচলে দূভোর্গের আশংকা করছেন স্থানীয়রা। স্থানীয় জেলে পরিবার
সূত্রে জানা যায়, চরমজলিশপুর ইউনিয়নের জেলেপাড়া সড়কে কুঠির কালী বাড়ী মন্দিরে যাতায়াতের সড়কের পাশে এক সাইড়ে সাইড়ওয়াল নির্মাণ ও অপর পাশ থেকে রাস্তার মাটি কেটে জমিতে মিশিয়ে দিচ্ছে সড়কের পাশের জমির মালিক নাজমুল করিম দুলাল ও ডাঃ আবুল হাসেমের ছেলে স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা সোহাগ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলে দৈনিক বাংলার অধিকার কে জানান আমাদের নদীর তীরবর্তী কয়েকটি বাড়ীর জেলেদের চলাচলের জন্য একমাত্র সড়ক এটি এলাকাবাসীর চলাচলের সুবিধার্থে জেলেদের দাবীর প্রেক্ষিতে চরমজলিশপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান একেএম তকি কালাচান ২০০৫ সালে সড়কটি নির্মাণ করেন।
এরপর স্থানীয়ভাবে বেশ কয়েকবার সড়কটি সংস্কার করে কালী বাড়ীতে বিভিন্ন র্ধমীয় পূজা পার্বনে হিন্দু সম্পদায়ের লোকজন এ সড়ক ব্যবহার করে থাকেন। চরমজলিশপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান একেএম তঁকি কালাচাঁন বলেন- আমি চেয়ারম্যান থাকাকালে ইউনিয়ন পরিষদের অর্থায়নে সড়কটি বড় করা হয়েছে আগে সড়কটি অনেক সরু ছিল জেলেদের চলাচলের সুবিধার্থে সড়কটি সংস্কার করি এই সড়কটি সরকারি সড়ক। এ সড়কে চলাচল এখন শতশত পরিবারের একমাত্র ভরসা। রাস্তার পাশে জমির মালিক মোঃ শাহাজান খাঁন জানান স্থানীয় চেয়ারম্যান এম এ হোসেনের পরামর্শ ক্রমে আমাদের মালিকীয় জায়গা থেকে রাস্তার জন্য ৮ ফুট জায়গা ছেড়ে সাইড় ওয়ালের কাজ করছি।
চরমজলিশপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ হোসেন জানান রাস্তার পাশে জমির মালিকদের সাথে গত শনিবার সরেজমিন গিয়ে একটি সমোঝতা কথা হয় এতে মালিক পক্ষ দাবী করেন পুরো রাস্তাটি তাদের মালিকীয় ও দখলীয় জায়গায়ার মধ্যে পড়েছে তবুও জনস্বার্থে ৬ ফুট জায়গা রাস্তার জন্য ছেড়ে দেয়া হয়েছে। পরে আমার অনুরোধে আরো ২ ফুট জায়গা ছেড়ে দিয়ে রাস্তার জন্য মোট ৮ ফুট জায়গা রাখা হয়েছে। ফেনী জেলা জন্মাষ্টমী উদযাপন কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি বসাক জানান বিষ্ণুপুর জেলে পাড়া সড়কে প্রায় দেড় শতাধিক পরিবারের একমাত্র চলাচলের এই সড়কটি সরু করা হলে যান চলাচলে ব্যাঘাত সৃস্টি হবে।