ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি : বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আগামী নির্বাচনে বিএনপির যে পরাজয় হবে এটা তারা মোটামোটি ভাবে নিশ্চিত। সে কারণে বিএনপির নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চায়না এবং নির্বাচন করতে বিএনপি ভয় পায়।
বুধবার দুপুর ৩টার দিকে ঠাকুরগাঁও শহরের জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি নির্বাচনকে ভয় পায়, কারণ কয়েকটি কারণে তারা নির্বাচনকে ভয় পায়। প্রথমত হচ্ছে তাদের সন্ত্রাস আশ্রয়ী রাজনীতি, জ্বালাও পোড়াও রাজনীতি, মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করার রাজনীতি; এসব কারনে জনগণের কাছ থেকে বিএনপি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আরেকটি বিষয় হচ্ছে বেগম খালেদা জিয়া আর তারেক রহমান দুজনই দন্ডপ্রাপ্ত আসামী; এ কারণে তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। যেহেতু বিএনপির নেতা খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান দুজনই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না এজন্য বিএনপির নির্বাচন নিয়ে কোন আগ্রহ নেই। সেজন্য বিএনপি তাদের দলকেও নির্বাচন মূখী করতে চায় না।
দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবদের সাথে যেসব ব্যবসায়ী সংশ্লিষ্ট; বড় বড় ব্যবসায়ীদের বেশিরভাগ কিন্তু মির্জা ফখরুল ও বিএনপির সাথে সংশ্লিষ্ট। মির্জা ফখরুল ইসলামদের যে চক্রান্ত সেই চক্রান্তের সাথে মিলিয়ে তারা অনেক সময় পণ্য মজুদ করে এবং মূল্য বাড়ানোর অপচেষ্টা চালায়। যেসব অসাধু ব্যবসায়ী এসব কাজের সাথে যুক্ত থাকবে তাদের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
হাছান মাহমুদ বলেন, আজকে আমরা ঠাকুরগাঁওয়ে এসেছি তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সাথে আলোচনা করার জন্য এবং সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করার জন্য। একি সাথে যারা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত তাদেরকে মোকাবেলা করার জন্য আমরা তৃণমূলের নেতাকর্মীদের নানা ধরনের নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে।
ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুহাম্মদ সাদেক কুরাইশীর সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন, ঠাকুরগাঁও-২ আসনের সংসদ সদস্য দবিরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিক, সদস্য অ্যাড. হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, অ্যাড. সফুরা বেগম রুমি, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার রায় সহ আওয়ামী লীগের জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।