রাজারহাটে ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউপি’র ভিজিডি কার্ডের চাল বিতরণে নয়ছয়
কুড়িগ্রামের রাজারহাটে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক অসচ্ছল পরিবারের জন্য বরাদ্দকৃত ভিজিডি কার্ডের চাল বিতরণে নয়ছয় দেখা দিয়েছে। ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নে ভিজিডি কার্ডের ৪৬৫জন সুবিধাভোগীর মধ্যে ৫১জন কার্ডধারীর চাল উত্তোলনের অভিযোগ ওঠেছে। দুইবছর মেয়াদি ভিজিডি কার্ডের ১৩ মাসের ৩৯০কেজী চাল উত্তোলনের পরে কার্ড হাতে পেয়েছেন একাধিক সুবিধাভোগী।
গত ২০ ফেব্রুয়ারি ভিজিডি কার্ডের মাসিক চাল নিতে আসা স্বপ্না রানী বলেন আমার কার্ডে ১৩ মাসের চাল উত্তোলনের স্বাক্ষর থাকলেও চাল পাইনি একবার,আমার বাড়ী ও স্বামীর নাম চেয়ারম্যান মেম্বার নাকি খুঝে পায়নি।কয়েকদিন আগে রবি চেয়ারম্যান আমাকে ঘড়িয়ালডাঙ্গায় ডাকে, সেখানে গেলে আমার ভিজিডি কার্ডে আমার একাধিকবার সই নিয়ে কার্ড ও স্লিপ দেয়। তারপর পরিষদ চাল তুলতে গিয়ে জানতে পারি আমার কার্ডের ১৩ মাসের চাল উত্তোলন হয়েছে। কার্ডধারী শারমিন আক্তার বলেন, আমার কার্ডের বলে জানান। ভুক্তভোগীদের কাছে কার্ড কোথায় ছিলো? জানতে চাইলে বলেন চেয়ারম্যান আমাদেরকে কার্ড ফেরত দেয়নি।
ভিজিডি বিতরণ কমিটির আহবায়ক ও উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা শাহ আলম সরকার বলেন,আমার পূর্বে যিনি দায়িত্বে ছিলেন তার কাছে বিষয়টি জানতে হবে। বিতরণ কমিটির আহবায়ক ও সাবেক উপজেলা জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা জয়ন্তী রানী কে মুঠোফোনে একাধিকবার কল করে পাওয়া যায়নি।
ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস প্রামাণিক বলেন,আমি দায়িত্ব গ্রহণে আগে এইসব কার্ডধারীর চাল বিতরণ করেন সাবেক চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ কর্মকার রবি,আমি চাই প্রকৃত কার্ডধারীরা তাদের বরাদ্দকৃত চাল পাক এবং আত্মসাতকারী আইনের আওতায় আসুক।
সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ কর্মকার রবি বলেন,
বিষয়টি সম্পুর্ণ বানোয়াট পরিকল্পিত,কার্ডে সই করে চাল উত্তোলন করেছে সুবিধাভোগীরা,যারা চাল পায়নি তাদের চাল গুদামঘরে রয়েছে।
এবিষয়ে রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূরে তাসনিম বলেন,রবীন্দ্রনাথ কর্মকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে জানতে পারি গুদাম ঘরে কিছু চাল পরে আছে,তাই কমিটির লোকজনকে পাঠিয়েছিলাম চাল বিতরণের জন্য, তাদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী করনীয় নির্ধারন করা হবে।