চাঁদপুরের মতলব উত্তরে ওটারচর নতুন ব্রিজের ৬ রাস্তার মোড়ে মোটরবাইক ও অটো রিক্সা সংঘর্ষে ৪ জন আহত হয়েছে।আহতদের মধ্যে গুরুতর আহত হয়েছেন নাজমা বেগম ৪৫ । তাকে মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করানো হয়। তার পায়ের হাড় ফেটে যায়। এছাড়া আহতদের মধ্যে ছিল মোটরসাইকেল চালক আবুবকর এবং অটো বাইকের চালক যাত্রী নাজমা বেগমের ছেলে। ছেংগারচর বাজার এর ফলের ব্যবসায়ী ছিটু মিয়ার বোন নাজমা বেগম তার বাড়ি নিজ ছেংগারচর। অর্থনৈতিক অবস্থা অত্যান্ত নড়েবড়ে।
জানা যায়, নাজমা বেগম তার মেয়ের বাসা রাঢ়ী কান্দি থেকে অটোযুগে ছেংগারচর যাচ্ছিলেন এবং অত্র উপজেলার রান্দাসপুর গ্রামের আবুবকর ছিদ্দিক মোটরসাইকেল নিয়ে নিজ বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। ওটারচর নতুন ব্রিজের সামনে মোড়ে আসলে উভয় বাইক মুখোমুখি সংঘর্ষে অটোরিকশা উল্টিয়ে সেচ কেনালে পড়ে যায়। অটোচালক, নাজমা বেগম ও তার ছেলে অটোর নিচে পড়ে যায়। সাথে সাথে পার্শবর্তী প্রতক্ষ্যদর্শীরা তাদের উদ্ধার করে। প্রত্যক্ষ দর্শী জহির দর্জি ও দৈনিক বাংলারনঅধিকার মতলব প্রতিনিধি মোঃ আতাউর রহমান সরকার বলেন, আমাদের চোখের সামনে মোটরবাইকটি হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কোন উপায় না পেয়ে অটোরিকসাটির সাথে ধাক্কা লাগে অটোবাইকটি নিমিষেই কেনালে উল্টিয়ে গেল। যাত্রী ও অটোচালক নিচে পড়ে গেছে।দৌড়িয়ে তাদের উদ্ধার করি। সাথে সাথে নাজমা বেগমের তার ভাই ছিটু মিয়াকে ফোন দেই। একটি অটো যুগে হাসপাতালে প্রেরণের ব্যবস্থা করি। এর মাঝেই মোটরভাইকের চালকের ফোনে মতলব উত্তর উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন আহ্বায়ক এস এম নোমান দেওয়ান এসে চিকিস্যার দায়িত্ব নেন। পরবর্তীতে জানা যা, তিনি প্রাথমিক চিকিৎস্যা চালানোর জন্য নগত কিছু টাকা দিয়ে যান।পরবর্তীতে বাকি চিকিৎসা খরচ বহন করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন।
সন্ধায় দৈনিক বাংলার অধিকারকে নাজমা বেগমের ভাই ছিটু মিয়া জানান, আমার বোনের পা এক্সরে করে দেখা গেছে হাড় ভেঙে গেছে ডাক্তারা প্লাস্টার করে দিয়েছে। তিনি আরও জানান, আমার বোন দরিদ্র অসহায়, কোন মতে সংসার চলে। এ দুর্ঘটনাটি তার জীবনকে আরো দুর্বিষহ করে দিলো। যে টাকা দিয়েছে তা দিয়ে চিকিৎসা খরচ হয়নি। তবে নোমান ভাই আগামীকাল দেখা করবেন বলেছেন। তিনি তার সু দৃষ্টি কামনা করেন।
এদিকে ওটারচর বাসী বলছেন, এ জায়গাটি অত্যন্ত ভয়াবহ এনিয়ে এ জায়গায় গত কয়েক বছরে দুইশতাধিক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে ছোটবড় সবধরনের যান বাহন। শুধুমাত্র এ মাসেই এনিয়ে চারটি দুর্ঘটনার শিকার হলেন যাত্রীরা। তাদের দাবি ব্রিজের দুইপাশে মাটি না থাকা ও কোন প্রকার স্পিড ব্রেকার না থাকার ফলে মুলত এমন দুর্ঘটনার সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলছে। তারা বলেন স্পিড বেকার বানানো হলে ভালো হবে কারন, এই মোরে ও গাড়ি চালক রা অনেক স্পিড দিয়ে গাড়ি চালিয়ে যায়। পাশা পাশি মোড়ের এরিয়ার বড় গাছ এবং ঝোপ ঝাড় গুলো পরিস্কার রাখলে হয়তো কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে। এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সাধারণ জনতা।