আওমীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম বলেছেন, আমি আপনাদের ভালোবাসায় ধন্য। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি দেশরত্ন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা আমাকে যে সম্মান দিয়েছে আমি তার কাছে চির কৃতজ্ঞ। শেখ হাসিনা আমার উপর যে দায়িত্ব অর্পণ করেছে তা পূরণ করতে চেষ্টা করবো। আপনাদের সাথে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে যাবো। আমি মতলবের উন্নয়নে আজীবন কাজ করে যাব। তিনি আরও মতলবের মাটি ও মানুষের ভালোবাসার জন্যই আমি মতলবে রাজনীতি করি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে প্রশ্ন করেন, আমি ঢাকা রাজনীতি না করে কেন মতলবে রাজনীতি করি আমি তার প্রতুত্তরে বলেছিলাম মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমার মতলব নদীবেষ্টিত একটি অনুন্নত দ্বীপঅঞ্চল। তারা বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। আমার মতলবের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করাই আমার স্বপ্ন। মতলব আমার জন্মভূমি মতলবের মাটি ও মানুষ আমাকে জীবন দিয়ে ভালবাসে।সেজন্যই আমি মতলবে রাজনীতি করি। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় মঙ্গলবার মতলব উত্তরের গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নেতাকর্মী ও উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্য তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, রাজনৈতিক নেতা আসবে যাবে আপনারা ব্যক্তিগত কোন রকম কোন্দলে জড়াবেন না। আমি আমার মতলবের সকল রাজনৈতিক নেতাদের শ্রদ্ধা ও সম্মান করি। মতলবে যারা কৃতী সন্তান ছিল আমি প্রত্যেককে শ্রদ্ধা করি। তারা আমার মতলবের গর্ব। উন্নয়নে তাদের অবদান স্বীকার্য। যারাই মতলবের উন্নয়নে কাজ করেছে আমি প্রত্যেককেই শ্রদ্ধা জানাই। তিনি তার বক্তব্যে মতলবের কৃতি সন্তান সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী শামসুল হক সাহেবকে শ্রদ্ধা জানান। তিনি বলেন তিনি সর্বদা ছিলেন আমার শ্রদ্ধার পাত্র। এসময় তিনি সাবেক সংস্থাপন প্রতিমন্ত্রী চাঁদপুর -২ আসনের সাবেক এমপি জনাব নুরুল হুদা সাহেবকে শ্রদ্ধা জানান। তিনি বলেন রাজনৈতিক জীবন দশায় আমি তাদের নীতিবাচক সমালোচনায় লিপ্ত হই নাই। তাদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই আমি রাজনীতি করেছি।এটা আমার পারিবারিক শিক্ষা। আমি ৫২ বছর যাবৎ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত কখনো আওয়ামী লীগের সাথে বেঈমানি করি নি। আওয়ামীলীগের সুখে-দুখে পাশে ছিলাম আজীবন আওয়ামলীগের পাশে থেকে যাব। দলীয় শৃঙ্খলা মেনে আমি আমার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করব। প্রিয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনার নির্দেশ সর্বদা আমি মেনে চলবো। আপনারা দলের আদর্শ মেনে চলবেন। শেখ হাসিনার হাত শক্তিশালী করবেন এবং চলমান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখবেন। আপনারা প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া করবেন যাতে আল্লাহ তাকে নেক হায়াত দান করেন। তিনি দীর্ঘদিন বেঁচে থাকলে দেশে ব্যাপক উন্নয়ন হবে ও বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত স্বপ্নগুলো পূরণ হবে।
সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রমকে আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নির্বাচিত করায় আনন্দিত নেতাকর্মীরা ও সাধারণ জনতা। ২২ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম মতলব উত্তর উপজেলার ছেংঙ্গার চর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক বিশাল গণসংবর্ধনা দেন। গণসংবর্ধনায় প্রায় ৪০ হাজার সাধারণ জনগণ অংশ নেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ ওসমান পাটোয়ারী, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কামান্ডার এমএ ওয়াদুধ, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ নাছির উদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নাইম পাটোয়ারী দুলাল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সদস্য সাজেদুল হাসান চৌধুরী দিপু, জেলা যুবলীগের আহবায়ক আলহাজ মিজানর রহমান কালু ভূইযা, মতলব উত্তর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এ্যাড. রুহুল আমিন, সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস, মতলব উত্তর উপজেলা চেয়ারম্যান ও সাবেক চেয়ারম্যান বৃন্দ। আওয়ামী লীগ স্বেচ্ছাসেবক লীগ যুবলীগ কৃষক লীগ শ্রমিক লীগ সকল অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ, উপজেলা আওয়মীলীগের সন্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মিয়া মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, যুগ্ম আহবায়ক ও জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়রাম্যানের জাহাঙ্গীর আলম হাওলাদার, সদস্য (দপ্তর) এ্যাড. সেলিম মিয়া, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী শরীফ, ছাত্রলীগের আহবায়ক মিনহাজ উদ্দিন খান, সদস্য সচিব তামজিদ সরকার রিয়াদ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত ৭ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ হাসিনা ২০১৯ সালের ২০ ও ২১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত দলের ২১তম জাতীয় কাউন্সিল কর্তৃক প্রদত্ত ক্ষমতাবলে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রমকে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য পদে মনোনয়ন দিয়েছেন।