চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলা ফরাজিকান্দি ইউনিয়নের সরদার পাড়া গ্রামের সরকার বাড়িতে সম্পত্তির জের ধরে গত ৯ফেব্রুয়ারি দুপুর খুনি মোস্তাকিম তার স্ত্রী ও মাতার সহযোগিতায় তার পার্শ্ববর্তী চাচী সম্পর্কিত ইউনুস সরকারের স্ত্রী নার্গিস বেগম ,তার কন্যা এবং তার শাশুড়ী মাজেদা বেগমকে হকি স্টিক দিয়ে নির্মম ভাবে পেটায়। ফলে নার্গিস বেগমের পা ভেঙে যায় এবং তার মা গুরুতর আহত হন। অতঃপর চাঁদপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হন। গত কয়েক দিনে অসহ্য যন্ত্রণা ভোগ করে মাজেদা বেগম(৭৫) গতকাল ২০ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮ ঘটিকায় চাঁদপুর সদর হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। পরে রাত ৯ টায় নার্গিস বেগমের বাপের বাড়ি মাজেদা বেগমের নিজ বাড়িতে রামদাসপুর নিয়ে আসেন।
জানা যায়, সম্পত্তির জের ধরে দীর্ঘদিন যাবৎ তাদের এ বিরোধ চলছিল। প্রবাসী মোস্তকিম সার্বক্ষণিক তাদের ভিটেমাটি টুকু দখলের পায়তারা করতো। এ নিয়ে প্রায়ই তাদের সংঘর্ষ হতো।কিন্তু গত ৯ ফেব্রুয়ারি এর চরম আকার ধারণ করে। তদন্তে জানা যায় গত ৯ ফেব্রুয়ারি নার্গিস বেগম এবং তার মেয়ে বাজার থেকে বাড়িতে যান। কিছুক্ষণ পরেই মুস্তাকিম তার বিল্ডিং এর পিছনে গর্ত করে মাটি নিয়ে যায়। তা নিয়ে তাদের মধ্যে একটি প্রতিবাদ দানা বাঁধে। সেই প্রতিবাদের জের দরে মুস্তাকিম একপর্যায়ে উত্তপ্ত হয়ে নার্গিস বেগম এবং তার মায়ের উপর হকিস্টিক দিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এমনকি জেন্ত মাটি দেওয়ার জন্য গর্তের ভিতর ফেলে দেওয়ার পায়তারা করছিল। পরে প্রতিবেশীরা তার কবল থেকে ভুক্তভোগীদের মুক্ত করেন। ততক্ষণে নার্গিস বেগমের পা এবং তার মা মাজেদা বেগমের বুকের হাড় ভেঙে ফেলেন খুনি মুস্তাকিম।এদিকে নার্গিস বেগমের কন্যা মারামারি কিছু অংশ ভিডিও করে রাখেন। পরবর্তীকালে তা ভাইরাল হয়। ফলে জনরোষের কবলে পড়ে প্রশাসন অভিযুক্ত তিনজনের মধ্যে দুইজনকে আটক করে। আটককৃতরা জামিনে বের হয়ে আসে। খুনি মোস্তাকিম বর্তমানে এলাকা থেকে পলাতক আছে।
উক্ত ঘটনায় এলাকাবাসী তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এবং খুনি মুস্তকিমের ফাঁসির দাবি তুলেছেন।