জুমার দিনে দুপুরে সবাই মসজিদে। সেই সুযোগে এলাকার নারী মাদকব্যবসায়ী আকতারা বেগমের বাড়িতে বসেছে গাঁজার আসর। প্রতিবেশী রুবেল হোসেন তাঁর পূর্ব পরিচিত দুই বন্ধুসহ আসেন আকতারার বাড়িতে। রুবেল তিনজনের জন্য গাঁজা কেনেন। যখনই তাঁরা গাঁজা সেবনের প্রস্তুতি নেবেন এমন সময় সেখানে হাজির হন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পরিমল কুমার সরকার। তাঁদের আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতে বসিয়ে দণ্ড দেন ম্যাজিস্ট্রেট। তাঁদের সরাসরি পাঠিয়ে দেন জেলখানায়।
ঘটনাটি দিনাজপুরে জেলার বিরামপুর পৌর শহরের শিমুলতলী মহল্লায়। শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ২টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরিমল কুমার সরকার ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মাদক বিক্রেতা ও তিন মাদকসেবীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন পৌরশহরের শিমুলতলী মহল্লার এন্তাজুল ইসলামের স্ত্রী আকতারা বেগম (৩৫), নিয়ামত আলীর ছেলে রুবেল হোসেন (৩৮), জয়পুরহাট জেলার সদর উপজেলার ভাতকোটা গ্রামের আসাদুল ইসলামের ছেলে ফারুক হোসেন (৪২) ও গোলাম মোস্তফার ছেলে রফিকুল ইসলাম (৩৭)।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরিমল কুমার সরকার জানান, ‘বিরামপুর পৌর শহরের শিমুলতলী মহল্লার একটি বাড়িতে গোপনে মাদক বিক্রি হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানা পুলিশের একটি দলসহ সেখানে মাদকবিরোধী অভিযান চালানো হয়। এ সময় নারী মাদকব্যবসায়ী আকতারা বেগমকে গাঁজা বিক্রি ও তিনজন মাদকসেবীকে মাদক কেনার সময় হাতে-নাতে আটক করা হয়। পরে, সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আটককৃত ফারুক হোসেন ও রফিকুল ইসলামকে এক মাসের এবং আকতারা বেগম ও রুবেল হোসেনকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।’
থানার উপপরিদর্শক হরিদাস বর্মণ জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত চারজন আসামিকে শুক্রবার বিকালে দিনাজপুর আদালতের মাধ্যমে জেলখানায় পাঠানো হয়েছে।