চিলমারী নৌ-বন্দর থেকে ভারতে গেল পণ্যবাহী জাহাজ
স্বাধীনতার পর এই প্রথম ঐতিহাসিক চিলমারী নৌ-বন্দর থেকে ভারতের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলো পণ্যবাহী নৌযান।
স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মতো কুড়িগ্রামের ঐতিহাসিক চিলমারী নৌবন্দর থেকে পণ্য নিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে বাংলাদেশি পতাকাবাহী নৌযান। ৭ ফেব্রুয়ারি
সোমবার দুপুরে চিলমারী নৌবন্দর থেকে একটি বাংলাদেশি নৌযান ঝুট কাপড় নিয়ে ভারতের উদ্দেশে রওনা হয়। এতে করে কুড়িগ্রামের অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা যুক্ত হওয়ায় সম্ভাবনার দুয়ার খুলে যাবে।
নৌযানটি ছাড়ার সময় চিলমারী নদী বন্দরে উপস্থিত ছিলেন চিলমারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও চিলমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আলী সরকার বীরবিক্রম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুবুুর রহমান, রাজস্ব কর্মকর্তা তপন কুমার সাহা, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট জামান আহমেদসহ কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগের কর্মকর্তারা।
বন্দর সংশ্লিষ্টরা বলেন, ভারত থেকে নৌপথে চিলমারী নৌবন্দরে পণ্য পরিবহণ খরচ তুলনামূলক কম। এতদিন ভারত থেকে চিলমারী বন্দরে পাথর আসলেও এই প্রথম চিলমারী নৌবন্দর থেকে বাংলাদেশি নৌযানে পণ্য ভারতে যাচ্ছে। প্রথম দিনেই ২৭ টন ঝুট কাপর নিয়ে শান আবিদ-১ নামের একটি নৌযান চিলমারী নৌ-বন্দর থেকে ভারতের আসাম রাজ্যের ধুবরি জেলার একটি নৌবন্দরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
খেতাব প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও চিলমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শওকত আলী সরকার বীরবিক্রম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৭ সালে চিলমারীতে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি উদ্বোধন করতে এলে আমরা এই নৌবন্দর চালুর দাবি জানিয়েছিলাম। প্রধানমন্ত্রী আমাদের আশ্বাস দিয়েছিলেন,যা আজ পণ্যবাহী নৌযান ভারতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করার মাধ্যমে বাস্তবায়িতন হলো। দেশের ও সরকারের উন্নয়নমূলক এই কর্মকাণ্ডে যেকোনোভাবে নিজে সম্পৃক্ত থাকতে পেরে আমি নিজেকেও আজকে অনেক ধন্য মনে করছি। এই বন্দর আমাদের গৌরব। আজ পণ্য নিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে জাহাজ ছেড়ে যাওয়ায় আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানানোর পাশাপাশি কুড়িগ্রাম জেলাবাসীকেও ধন্যবাদ জানাই।