ঢাকার ঐতিহ্যবাহী নটরডেম কলেজে এইচএসসি লিখিত ভর্তি পরীক্ষায় চান্স পেলো মেধাবী ছাত্র রবিন পোদ্দার পার্থ। রবিন পোদ্দার পার্থ চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী পালাখাল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০২১ সালে এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে। এর আগে সে পিইসিতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি ও জেএসসি পরীক্ষায় সাধারন গ্রেডে বৃত্তি পেয়েছে। রবিন পোদ্দার পার্থ সাচার পোদ্দার বাড়ির মৃত রতন পোদ্দার ছেলে। সে ২০১৮ সালে পালাখাল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জেসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ও পিইসি পরীক্ষা ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি লাভ করেন। রবিন পোদ্দার পার্থ এর বয়স যখন দুই বছর,তখন তার বাবা মারা যান। বাবার মৃত্যুতে পড়াশুনায়া চালিয়ে যেতে আর্থিক সংকটে পড়তে হয় তাদের। মা পূর্নিমা রানী চৌধুরী স্থানীয় একটি কিন্ডার গার্টেন শিক্ষকতা করেন। যে টাকা আয় তা দিয়ে কোনো মতে সংসার চলে। আর্থিক অনটনের কারনে ছেলের স্বপ্ন যেন আকাশচুম্বী। অনেক পরিশ্রম করে ছেলেকে পড়াশুনা চালিয়ে যাচ্ছেন পূর্নিমা রানী। এদিকে রবিন পোদ্দার পার্থ ও তার মা পূর্নিমা রানী চৌধুরী পালাখাল চৌধুরী নানার বাড়িতে বসবাস করে আসছেন। জীবন সংগ্রামে যুদ্ধে করে এগিয়ে যেতে চান রবিন পোদ্দার পার্থ। স্বপ্ন পূরনে বাধা-বিপত্তিকে এগিয়ে সামনের দূর প্রান্তে পৌছাতে চান তিনি।
স্থানীয়রা জানান, রবিন পোদ্দার পার্থ একজন মেধাবী ছাত্র। মেধাবী ছাত্র হওয়ার করেন সে নটরডেম কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছে। আমরা তার মঙ্গল কামনা করি।
তার গর্বিত মা পূর্নিমা রানী চৌধুরী বলেন, রবিন পোদ্দার পার্থ এর যখন বয়স দুই বছর। তখন তার বাবা মারা যান। অনেক পরিশ্রম করে তাকে পড়াশুনা চালিয়ে আসছি। ছেলের সাফল্যে আনন্দিত এবং ভবিষ্যতে ছেলে একজন দেশসেরা সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং হয়ে সাধারন মানুষের সেবা করবে এ প্রত্যাশায় সকলের দোয়া ও সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি।
রবিন পোদ্দার পার্থ বলেন, আমার বাবার স্বপ্ন ছিল আমি একজন সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং হয়ে কাজ করার। আমি যেন বাবা ও মায়ের স্বপ্ন পূরন করতে পারি সেজন্য সবার আর্শীবাদ কামনা করছি।
এদিকে কচুয়ার পালাখাল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রবিন পোদ্দার পার্থ নটরডেম কলেজে এইচএসসি ভর্তি পরীক্ষায় চান্স পাওয়ায় তাকে বিদ্যালয়ের শিক্ষক,পরিচালনা পর্ষদের সদস্যসহ অন্যন্যরা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
কচুয়া: নটরডেম কলেজে চান্স পাওয়া রবিন পোদ্দার পার্থ ও তার মা পূনিমা রানীর সাথে।