সারা দেশে এমওপি সারের সংকট দেখিয়ে সরকারের নির্ধারিত মূল্যের অধিক দামে বিক্রি করছে ডিলাররা অন্যদিকে বাধ্য হয়ে খুচরা বিক্রেতারা চওড়া মূল্যে সার বিক্রির অভিযোগ ওঠেছে। আর এই সিন্ডিকেট এর মাশুল গুনতে হচ্ছে সাধারন কৃষকদের। বিষয়টি দৈনিক বাংলার অধিকার পত্রিকার মতলব প্রতিনিধি এবং একজন কৃষি উদ্যোক্তা মোঃ আতাউর রহমান সরকার এর দৃষ্টি ঘোচর হলে তিনি গতকাল কৃষকদের জন্য সারের দোকান মনিটরিং করেন।
এমওপি সারের ঘাটতিকে উপলক্ষ করে অতিরিক্ত দামে বিক্রি করছেন এমন অভিযোগ পেয়ে বিনা প্রয়োজনে মনিটরিং এর জন্য ১০ কেজি এমওপি সার কিনেন ২০০ টাকা দিয়ে।
সরকারের নির্দেশ মতে দাম ১৫০ টাকা।
দোকানীকে জিজ্ঞেস করলেন এত দাম বাড়লো কবে, তিনি বললেন সারের ঘাটতি সেজন্য বেশি দামে সার কিনি ও বিক্রি করছি।শুধুমাত্র জরুরী চাহিদা মিটানোর জন্য।
সাধারণ কৃষকদের নিকট এমওপি সার বিক্রির জন্য শর্ত আরোপ করেন। এমন অবিযোগ ও উঠেছে। এ বিষয়ে দেশের সার্বিক অবস্থা জানার জন্য কৃষকের প্রান কৃষিজগৎ ফেসবুক গ্রুপে কৃষকদের মতামত জানতে চাইলে সকলে যে মতামত দেন তার কিছু অংশ তুলে ধরা হলোঃ
মোঃ পিন্স ময়মনসিংহ ভালুকা ডাকাতিয়া থেকে জানান, আমার এলাকায় ১১৫০ টাকা বস্তা বিক্রি হচ্ছে। টেকনাফ কক্সবাজার থেকে মোঃ দেলোয়ার হোসাইন জানান, ৫০কেজি ৮৭৫টাকা টেকনাফ কক্সবাজার এলাকায়।
আবির হোসেন বলেন,
পঞ্চগড়ে ২০/২২ টাকা কেজি। মোঃ কাওসার আহমেদ বলেন,
৯৫০ থেকে ১০৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে নরসিংদী
মোঃ মাসুদ রানা জানান,
১৮ টাকা কেজি নারায়ণগঞ্জ।
অন্যদিকে মোটা দানা ২০ টাকা ও চিকন পটাশ ১৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে মেহেরপুরে জানান আরিফুল ইসলাম
ইব্রাহীম খলিল জানান,
ময়মনসিংহ জেলায় ২০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে এমপি সার।
চুয়াডাঙ্গা জেলা ভিতরে মোটা টা খুচরা ২৮-৩০টাকা
জানান, লিংকন হোসাইন
কৃসান এগ্রোর পরিচালক জানান, নবাবগঞ্জ,দিনাজপুর চিকন ২০ টাকা কেজি।মোটা ২৭ টাকা কেজি
এদিকে ব্যবসায়ী বাদল আলম বাগেরহাট থেকে জানান, আমি খুচরা সার বিক্রেতা। ৭৩০ টাকা বস্তা হিসাবে এই মাসে দশ বস্তা( ৫০০ কেজি) এমওপি পেয়েছি। আমার দোকানের চাহিদা আছে ২০০ বস্তা ( ১০০০০ কেজি )। এবার বোঝেন এমওপির সরবরাহ কেমন।
এদিকে সুনামগঞ্জের খুচরা বিক্রেতা মোঃ কলিম উদ্দিন জানান আমি মনে করি দোকানির তেমন দুষ নেই, বেশি দামে বিক্রি করার কারন, আমার প্রতি মাসে ইউরিয়া ৬০ টন ও এম ও পি ২৫-৩০ টন লাগে,,,সেই এখন এমও পি সার পাচ্ছিনা,, কয়েক জায়গায় পেয়েছি পাইকারি দাম রাখবে ৯০০ টাকা করে, তো গাড়ি ভাড়া সহ ৯৩০ টাকা দামে আমার গুদামে উঠবে,, এতো দামে কেনা বিক্রি করবো কত টাকা, তখনি কৃষি অফিসার কে ফোন দিছি, তখন বলছেন,,এত দামে আনার আনতে পারেন,কিন্তু বেশি দামে বিক্রি করা যাবেনা,৷ তখনি রাগ করে আর সার আনছিনা,,তো এখন এম ও পি সারের হাহা কার কৃষকের,, এদিকে কোথায় ও এম ও পি সার পাচ্ছে না খুঁজে, ধানের অবস্থা ও বেশি ভালো না,,,, তো আমি অফিসার কে বলছি,আপনি আমার এলাকায় এমও পি সারের ঘাটতি পূরন করে দেন,,আমি সার উঠাবোনা।।। তো আর কি, কৃষক দোকানে এসে ফিরে যাচ্ছে।।।
মাজহারুল আলম জুয়েল জানান, আমি একজন হাইব্রিড বীজ কোম্পানির প্রতিনিধি আলহামদুলিল্লাহ সারা বাংলাদেশ প্রত্যেক এলাকার আনাচে-কানাচে মার্কেটিং ভিজিট করি কোথাও দেখলাম না কে জিতে 20 টাকার নিচে এমওপি সার বিক্রি করতে সারাদেশে একই অবস্থা কোথাও 20 টাকার উপরে 22 টাকায় বিক্রি হয়।
তবে কোন কোন ডিলারদের অভিযোগ, আমরা কৃষকদের চাহিদার তুলনায় খুবই নগন্য পরিমাণ সার বরাদ্দ পাই। ফলে সংকট সৃষ্টি হলে কৃষকদের চাহিদা মেটানোর জন্য অন্যান্য এলাকা থেকে সার বেশি দামে ক্রয় করি। ফলে বাধ্য হয়ে বেশি দামে বিক্রি করতে হয়। মুলত এভাবেই একএলাকা থেকে অন্য এলাকায় সার পাচার হওয়ার কারণে দাম বাড়ার মূল কারণ মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে এ থেকে উত্তরণের জন্য অঞ্চল ভেদে সঠিক চাহিদা অনুযায়ী সারা দেশে সার সরবরাহের বিকল্প নেই।
এমন ঘটনায় সারা দেশের কৃষকেরা উদ্বীগ্ন। কোথাও কোথাও বেশি দামে সার বিক্রি করতে বাধার সম্মীখীন হওয়ায় সার বিক্রি বন্ধ রেখেছেন খুচরা বিক্রেতারা।এতে কৃষকেরা পড়ছেন বিপাকে। এদিকে বোরো মৌসুমে ধান রোপণের জন্য কৃষক কোথাও কোথাও একেবারেই এমওপি সার পাচ্ছে না। যার ফলে উৎপাদন কমার আশংকা করছেন বিশেষজ্ঞরা।তাদের মতে দ্রুত এ বিষয়ে মাননীয় কৃষি মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।