মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ১১:১৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম
শিরোনাম
দাকোপের বাজুয়ায় সাপ্তাহিক হাট-বাজারে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল হোসেনের (ঘোড়া) প্রতিকের গণসংযোগ সীতাকুণ্ডে মাহিনুর শিপ রিসাইক্লিং ইয়ার্ডে শ্রমিক নিহত প্রতিক বরাদ্দের পর বিভিন্ন স্থানে আঃ লীগ নেতাদের মিছিল, বিএনপি থেকে সেই প্রার্থী কে শোকজ শাহরাস্তি উপজেলা নির্বাচনে আনারস, চশমা ও প্রজাপতি বেসরকারিভাবে নির্বাচিত কলস মার্কা প্রতীক পেয়েছেন পার্বতীপুর উপজেলা পরিষদ নিবার্চনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সহকারি অধ্যাপক (ইংরেজি) সুলতানা নাসরীন এম.এ মুন্সীগঞ্জে চলছে দুই উপজেলা নির্বাচনের ভোট প্রতিযোগিতা ফরিদপুরে আরসিসি ড্রেন নির্মান কাজের উদ্বোধন করলেন পৌর মেয়র দাকোপের বাজুয়ায় সাপ্তাহিক হাট-বাজারে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী অচিন্ত মন্ডলএর (দোয়াত-কলম) প্রতিকের গণসংযোগ কুলিয়ারচরে বিনা প্রতিদ্বনদ্বিতায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ‘আবুল হোসেন লিটন কুড়িগ্রামে মোবাইল কিনে না দেওয়ায় গলায় ফাঁস দিয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীর আত্মহত্যা  কচুয়ায় তালা মার্কা ভোট চেয়ে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন সাংবাদিক রাকিবুল হাসান শিশু ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী গ্রেফতার পার্বতীপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে রংপুরে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের তিন সদস্যকে পৃথক পৃথক মেয়াদে কারাদন্ড পড়াশোনা এবং নির্মাণে উচ্চ ডিগ্রী নিতে যুক্তরাষ্ট্রে অ্যান্থনি
বিজ্ঞপ্তি :
বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রানালয়ে আবেদনকৃত।

বাজার ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা কাটাতে হবে-দৈনিক বাংলার অধিকার

অধিকার ডেক্স / ৯০ সংবাদটি পড়েছেন
প্রকাশ: বুধবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২২, ৭:৪১ পূর্বাহ্ণ

কৃষিপণ্যসহ নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতার বিষয়টি গত কয়েক বছর ধরে আলোচিত হলেও এক্ষেত্রে অবস্থার কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না। অতীতে শীত মৌসুমে তুলনামূলক কম দামে বিভিন্ন কৃষিপণ্য পাওয়া যেত। এখন সারা বছরই চড়া দামে বিভিন্ন কৃষিপণ্য ক্রয় করতে হচ্ছে ভোক্তাদের। মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্যে একদিকে ঠকছেন কৃষক, অন্যদিক ভোক্তা। এ অবস্থায় সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে নিু ও স্বল্প আয়ের মানুষ।

প্রশ্ন হলো, শীত মৌসুমেও সবজি তিন থেকে চারগুণ দামে ভোক্তাকে কিনতে হবে কেন? বাড়তি দরে কৃষিপণ্য বিক্রি হলেও লাভের মুখ দেখছেন না কৃষক। দেশের প্রায় প্রতিটি পরিবারে আলুর চাহিদা রয়েছে। কৃষক পর্যায়ে এক কেজি আলু উৎপাদনে খরচ হয় ৭ টাকার কিছু বেশি। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে কৃষক এ আলু প্রতি কেজি ৮ টাকার কিছু বেশি দামে বিক্রি করেন। এরপর কয়েক হাত ঘুরে ২২ থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে সেই আলু বিক্রি হয় সাধারণ ভোক্তার কাছে।

প্রায় প্রতিটি সবজির ক্ষেত্রে এ চিত্র লক্ষ করা যায়। কৃষক সবজি বিক্রি করে কোনোমতে উৎপাদন খরচ তোলার চেষ্টা করেন। তারা লাভের মুখ দেখেন কদাচিৎ। অনেক সময় তারা উৎপাদন খরচও তুলতে পারেন না। অতি মুনাফার সব টাকাই যাচ্ছে মধ্যস্বত্বভোগীদের পকেটে। এ অবস্থায় বাজার তদারককারী সংস্থাগুলোর সক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। জানা গেছে, কৃষকের উৎপাদিত পণ্য ভোক্তা পর্যায়ে আসতে বেশ কয়েকটি ধাপ পেরোতে হয়। এসব ধাপের সঙ্গে স্থানীয় ব্যবসায়ী-মজুতদার, ব্যাপারি, পাইকারি ব্যবসায়ী, আড়তদার, প্রক্রিয়াজাতকারী, খুচরা ব্যবসায়ীসহ আরও অনেকে জড়িত। বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজিও পণ্যের দাম বৃদ্ধির অন্যতম কারণ বলে জানা গেছে।

বস্তুত মধ্যস্বত্বভোগীর কারসাজিতে সারা বছরই অস্থির থাকে চালসহ নিত্যপণ্যের বাজার। এ কারসাজিতে ভোক্তারা কেবল যে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তাই নয়; তারা মানহীন, এমনকি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর পণ্য কিনতেও বাধ্য হচ্ছেন। বাজার ব্যবস্থাপনার দুর্বলতার কারণেই মধ্যস্বত্বভোগীরা এতটা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এ দুর্বলতা কাটাতে সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। দেশে যোগাযোগ ব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন এলেও এ সুযোগকে কাজে লাগানোর ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। বিভিন্ন পণ্য কৃষকের কাছ থেকে ভোক্তা পর্যায়ে আসতে বিদ্যমান ধাপগুলো কমানোর পদক্ষেপ নেওয়া না হলে মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য যে কমবে না, তা বলাই বাহুল্য।


এ বিভাগের আরও সংবাদ

আর্কাইভ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Don`t copy text!
Don`t copy text!