বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৫৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম
শিরোনাম
ভয়াল সিনেমাটি সবার জন্য উন্মুক্ত সিরাজদিখানে নবাগত সহকারী পুলিশ সুপারের সাথে ঝিকুট ফাউন্ডেশনের মতবিনিময় জনগণের অধিকার ও ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা হবে- ছাগলনাইয়া বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম রাউজান প্রেসক্লাবের নব-নির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত দাকোপের সাহেবের আবাদ শ্রীশ্রী কৃষ্ণের রাসমেলায় চতুর্থদিনে সাংকৃতিক সন্ধ্যা ঘোপাল যুবদলের লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ ঠাকুরগাঁওয়ে তিন জাতীয় দিবস উদযাপনে প্রস্তুতিমূলক সভা ঠাকুরগাঁওয়ে মাওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকীতে ইএসডিও’র আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল ছাগলনাইয়ায় ৩০ কেজি গাঁজা উদ্ধার আটক ০১ রাজনীতি চিরতরে বন্ধ করতে হবে। দেশ চালাবে জাতীয় ঐক্যের সরকার। সনাতনীদের অস্তিত্ব রক্ষার্থে সকলকে একত্রিত হতে হবে ছাগলনাইয়া সেচ্ছাসেবক দলের লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ মুন্সীগঞ্জে বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্নয় ঠাকুরগাঁওয়ে বিএনপির পৌর শাখার ৬ নং ওয়ার্ডের বর্ধিত ও কর্মীসভা  বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিলো চালনা চিলড্রেন পার্ক প্রিক্যাডেট স্কুলের শিক্ষার্থীরা
বিজ্ঞপ্তি :
বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রানালয়ে আবেদনকৃত।

বাজার ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা কাটাতে হবে-দৈনিক বাংলার অধিকার

অধিকার ডেক্স / ১১৪ সংবাদটি পড়েছেন
প্রকাশ: বুধবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২২, ৭:৪১ পূর্বাহ্ণ

কৃষিপণ্যসহ নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতার বিষয়টি গত কয়েক বছর ধরে আলোচিত হলেও এক্ষেত্রে অবস্থার কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না। অতীতে শীত মৌসুমে তুলনামূলক কম দামে বিভিন্ন কৃষিপণ্য পাওয়া যেত। এখন সারা বছরই চড়া দামে বিভিন্ন কৃষিপণ্য ক্রয় করতে হচ্ছে ভোক্তাদের। মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্যে একদিকে ঠকছেন কৃষক, অন্যদিক ভোক্তা। এ অবস্থায় সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে নিু ও স্বল্প আয়ের মানুষ।

প্রশ্ন হলো, শীত মৌসুমেও সবজি তিন থেকে চারগুণ দামে ভোক্তাকে কিনতে হবে কেন? বাড়তি দরে কৃষিপণ্য বিক্রি হলেও লাভের মুখ দেখছেন না কৃষক। দেশের প্রায় প্রতিটি পরিবারে আলুর চাহিদা রয়েছে। কৃষক পর্যায়ে এক কেজি আলু উৎপাদনে খরচ হয় ৭ টাকার কিছু বেশি। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে কৃষক এ আলু প্রতি কেজি ৮ টাকার কিছু বেশি দামে বিক্রি করেন। এরপর কয়েক হাত ঘুরে ২২ থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে সেই আলু বিক্রি হয় সাধারণ ভোক্তার কাছে।

প্রায় প্রতিটি সবজির ক্ষেত্রে এ চিত্র লক্ষ করা যায়। কৃষক সবজি বিক্রি করে কোনোমতে উৎপাদন খরচ তোলার চেষ্টা করেন। তারা লাভের মুখ দেখেন কদাচিৎ। অনেক সময় তারা উৎপাদন খরচও তুলতে পারেন না। অতি মুনাফার সব টাকাই যাচ্ছে মধ্যস্বত্বভোগীদের পকেটে। এ অবস্থায় বাজার তদারককারী সংস্থাগুলোর সক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। জানা গেছে, কৃষকের উৎপাদিত পণ্য ভোক্তা পর্যায়ে আসতে বেশ কয়েকটি ধাপ পেরোতে হয়। এসব ধাপের সঙ্গে স্থানীয় ব্যবসায়ী-মজুতদার, ব্যাপারি, পাইকারি ব্যবসায়ী, আড়তদার, প্রক্রিয়াজাতকারী, খুচরা ব্যবসায়ীসহ আরও অনেকে জড়িত। বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজিও পণ্যের দাম বৃদ্ধির অন্যতম কারণ বলে জানা গেছে।

বস্তুত মধ্যস্বত্বভোগীর কারসাজিতে সারা বছরই অস্থির থাকে চালসহ নিত্যপণ্যের বাজার। এ কারসাজিতে ভোক্তারা কেবল যে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তাই নয়; তারা মানহীন, এমনকি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর পণ্য কিনতেও বাধ্য হচ্ছেন। বাজার ব্যবস্থাপনার দুর্বলতার কারণেই মধ্যস্বত্বভোগীরা এতটা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এ দুর্বলতা কাটাতে সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। দেশে যোগাযোগ ব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন এলেও এ সুযোগকে কাজে লাগানোর ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। বিভিন্ন পণ্য কৃষকের কাছ থেকে ভোক্তা পর্যায়ে আসতে বিদ্যমান ধাপগুলো কমানোর পদক্ষেপ নেওয়া না হলে মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য যে কমবে না, তা বলাই বাহুল্য।


এ বিভাগের আরও সংবাদ

আর্কাইভ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Don`t copy text!
Don`t copy text!