কুড়িগ্রামের রাজারহাটে উমরমজিদ ইউনিয়নে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বসত বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত ১২ জানুয়ারী বুধবার সন্ধ্যা ৬ঃ৩০ঘটিকায় উপজেলার উমরমজি ইউনিয়নের নওদাবস তালুকসুবল সোনারপাড়া এলাকায় ঘটে এ ঘটনা।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন দুই নারী। বর্তমানে মোছাঃ সুলতানা বেগম,(২৭),কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন, মোছাঃ জরিনা বেগম স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করেন। এ ঘটনায় রাজারহাট থানায় অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা উপজেলার উমরমজিদ ইউনিয়নের নওদাবস তালুকসুবল সোনারপাড়া এলাকার মোঃ আব্দুল জব্বারের ছেলে মোঃ জয়নাল আবেদীন হাজারীর বসত বাড়িতে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে লোহার রট ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা ও ভাঙচুরের তাণ্ডব চালায় একই এলাকার পনির উদ্দিনের স্ত্রী মোছাঃ আমেনা বেগম (৫০) মোঃ আখের আলীর স্ত্রী আনজু বেগম (৩০) মৃতঃ জহির উদ্দিনের ছেলে মোঃ পনির উদ্দিন (৬০) মৃত মহসিন আলীর ছেলে নুরুন্নবী মিয়া(৩৫),সহ অজ্ঞাত ৩/৪ জন।
এ সময় দুর্বৃত্তরা বসত ঘরে ঢুকে জয়নাল আবেদীন হাজারীর স্ত্রী মোছাঃ সুলতানা বেগম কে এলোপাথারীভাবে পিটিয়ে আহত করে। এ সময় সুলতানা বেগমের শাশুড়ি জরিনা বেগম তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে, সুলতানা বেগমকে নুরুন্নবী মিয়া,পনির উদ্দিন গায়ের জামাকাপড় টেনে ছিঁড়ে শ্রীলতাহানি চেষ্টা করে এবং তাকেও রড ও বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম ও আহত করে।
এ ঘটনায় মোঃ জয়নাল আবেদীন হাজারীর ঘরের ষ্ট্রীলের বাক্স থাকা ২,২০০০০ দুই লক্ষ বিশ হাজার নগদ টাকা ও ১০ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন মূল্য আনুমান ৫০.০০০ হাজার টাকা অভিযুক্তরা নিয়ে যায় এবং ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর ক্ষতিসাধন অনুমান ৫০০০ হাজার টাকা।
তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে দুর্বৃত্তরা চলে যায় এবং সুলতানা বেগম ও তার পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যায়। আশপাশের লোকজনের সহযোগিতায় আহতদেরকে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পরের দিন ১৩ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার বিকেলে, সুলতানা বেগমের স্বামী মোঃ জয়নাল আবদীন হাজারী বাদী হয়ে ৪ জনকে আসামি করে রাজারহাট থানায় গিয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
আহত সুলতানা বেগম প্রতিবেদককে জানান, প্রতিবেশী আমেনা বেগম,আনজু বেগম,পনির উদ্দিন, নুরুন্নবী মিয়া। উল্লেখঃ বিবাদীগন গত এর আগেও অনেকবার আমাদের উপর হামলা করছে। আমরা এলাকার মাদবরদের কাছে বার বার বিচার দিয়েও বিচার পাইনি। আবারও আমার বসতবাড়িতে হামলা করে আমাকেসহ আমার শাশুড়ি মাকে মারধর করে আহত করলো। আমার গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন,বাড়িতে থাকা টাকা-পয়সা লুট করে নিয়ে গেল। এখনো আমি কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে ভর্তি আছি। প্রশাসনের কাছে এর সঠিক বিচার প্রার্থনা করছি।
এ ব্যাপারে রাজারহাট থানার ওসি রাজু সরকার বলেন,
অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তাং ১৬/০১/২০২২-ইং।