হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায় আহম্মদাবাদ ইউনিয়নের রানীকোড গ্রামের পারুল কে হত্যা মামলার পরিকল্পনাকারীর দায়ে আটক করেছে পুলিশ।
কখনো মানবাধিকার কর্মী, কখনো সাংবাদিক, কখনো পরিবেশকর্মী ইত্যাদি পরিচয়ে চলাচল ছিল তাঁর।
সাধারণ মানুষের কাছে ভিন্ন পরিচয়ে পরিচিত হয়ে ধোঁকা দিয়ে ফায়দা লুটাই ছিল যেন তাঁর স্বভাব।
চুনারুঘাটে এই বহুরূপী পারুল কে গ্রেফতার করেছে চুনারুঘাট থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার(১১জানুয়ারি ২২)ইং বিকালে চুনারুঘাট থানা পুলিশের মাধ্যমে হবিগঞ্জ বিচারিক আদালতে মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
গতকাল সোমবার পারুলকে গ্রেফতার করে চুনারুঘাট থানা পুলিশ।
স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, পন্ডিত মিয়া বাদীহয়ে ৩২৫/৩২৪/৩২৩/৩০৭/ ধারায় পারুলসহ ৪ জনকে আসামি করে থানায় অভিযোগ দায়ের করলে অভিযোগ টি মামলা আকারে গ্রহন করে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পারুল বিষয়ে আরো জানা যায়, রানীকোট গ্রামের চাঞ্চল্যকর আবু মিয়া হত্যা মামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী হলেও প্রভাবশালী একটি মহল জোর তদবিরে এজহারে নাম না থাকায় ছলচাতুরীর মধ্যে বেঁচে যায় পারুল আক্তার।
আবু মিয়া হত্যা মামলার বাদী মানিক মিয়া বলেন পারুল আমার পিতা হত্যার মূল পরিকল্পনাকারীর একজন,কিন্তু প্রভাবশালী একটি মহলের চাপে এবং আমি শোকাহত অবস্থায় মামলার এজাহার দায়ের করায় এজাহারে পারুল আক্তার এর নাম আসেনি।
পরবর্তীতে আমি পুলিশ সুপার বরাবর আসামি পারুল আক্তার কে সংযুক্ত করার একটি আবেদন করিলে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার চুনারুঘাট থানা কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ প্রদান করেন।
পারুল আক্তার বিভিন্ন জায়গায় মানবাধিকার কর্মীর পরিচয়ে সে সাধারণের কাছ থেকে অনেক টাকাও হাতিয়ে নিয়েছে।
গ্রেফতার এর বিষয় টি নিশ্চিত করেন চুনারুঘাট থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ
এম আলী আশরাফ তিনি জানান।
বাদী পক্ষের অভিযোগ দাখিলে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়।
তাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে আদালতে প্রেরণ করা হয়।