বাবার ছোট মেয়ে সাদিয়া। পাঁচ বোন। দুই বোন স্বামীর বাড়িতে। দুই বোন পড়াশোনা করছে।
আর সাদিয়া সবেমাত্র একটি মাদ্রাসায় ভর্তি হলো। তার বাবা না ফেরার দেশে চলে গেল। মৃত্যু একটি বিশ্বাস যোগ্য শব্দ। সেটা বুঝার বয়স হয়নি সাদিয়ার। কিন্তু বাবার জানাজা শেষে দাফন হয়। তারপর দোয়া হয়। ওই মূহুর্ত পর্যন্ত বাবার শেষ বিদায় দেখতে সাদিয়া নিরবে জানাজার মাঠের এককোণে দাঁড়িয়ে।
বলছিলাম হাজীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সদস্য ও হাজীগঞ্জ আল কাউসার স্কুলের শিক্ষক আবু তাহের মিসবাহ শেষ বিদায়ের কথা। তিনি সাংবাদিকতায় দৈনিক চাঁদপুর দিগন্ত ও মানবসমাজের নিজস্ব প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টায় তিনি কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান। তিনি হাজীগঞ্জ পৌরসভার ধেররা বিলওয়াই হাজী বাড়ীর বাসিন্দা ছিলেন। স্ত্রী, ৫ মেয়েসহ বহু গুনগ্রাহী রেখে যান।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫০ বছর। তাহের মিসবাহ দীর্ঘদিন কিডনী রোগে ভুগছিলেন। মঙ্গলবার সকালে জানাজার নামাজ শেষে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়।
ওই সময় তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বক্তৃতা রাখেন দিগন্ত ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান, হাজীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি খালেকুজ্জামান শামীম, পপুলার বিডিনিউজের সম্পাদক মনিরুজ্জামান বাবলু, মজিব পাটোয়ারী, শিক্ষক মাও. আবুল হাছনাত,পরিবারের পক্ষ থেকে হাজীগঞ্জ পৌর সভার কর নির্ধারক আবু ইউছুফ ও মোহাম্মদ শাহজাহান। দাফন শেষে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন হাফেজ মাওলানা মীর হোসাইন।
জানাজার নামাজে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক মুরাদ, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মোজ্জাম্মেল হোসেন মজুমদার পরাণ, পৌর কাউন্সিলর মহসীন ফারুক বাদল, হাজীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি জহিরুল ইসলাম লিটন, মহিউদ্দিন আল আজাদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাফিউল বাসার রুজমন, সাধারণ সম্পাদক এনায়েত মজুমদার, দৈনিক চাঁদপুর দিগন্তের নির্বাহী সম্পাদক ইলিয়াছ পাটোয়ারি সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম মিরাজ মুন্সী, সাংবাদিক আলমগীর হেসেন, জহিরুল ইসলাম জয় ও রেজাউল করিম নয়নসহ প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ অংশ গ্রহন করেন।
তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন পৌর মেয়র আ স ম মাহবুব উল আলম লিপন, হাজীগঞ্জ প্রেসক্লাব, আল কাউসার স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষক মন্ডলী, মানবসমাজ, পপুলার বিডিনিউজ, দৈনিক বাংলার অধিকার।