বিএনপি সংলাপে অংশ না নিলেও কোনো কিছু থেমে থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যু এখন আদালতে মীমাংসিত অতীত ইস্যু বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
শনিবার (৮ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন তিনি। গণমাধ্যমে প্রচারিত ও প্রকাশিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতারা বলেছেন, বিএনপি অংশ নেয়নি তাই মহামান্য রাষ্ট্রপতির সংলাপ অর্থহীন। বিএনপি ছাড়াও এ দেশে আরও রাজনৈতিক দল আছে, এ কথা সম্ভবত তারা ভুলে গেছে। বিএনপি অংশ না নিলে কোনো কিছুই থেমে থাকবে না, থেমে থাকবে না রাষ্ট্রের গণতন্ত্র এবং সাংবিধানিক প্রক্রিয়ার ধারাবাহিকতা।
তিনি বলেন, বিএনপির কাজই হলো সরকার এবং দেশের কল্যাণকর যেকোনো প্রয়াস ও অর্জনকে বিতর্কিত করা। সবকিছু নিয়ে বিতর্ক করতে গিয়ে আজ জনগণের কাছে তারাই বিতর্কিত। অপরিণামদর্শী রাজনীতির কারণে আজ তারা গভীর খাদের প্রান্তে। তাদের হাঁক-ডাক নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করা এবং নেতাকর্মীদের মনোবল ধরে রাখার ব্যর্থ প্রয়াস ছাড়া আর কিছুই নয়।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেব নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নিকট ক্ষমতা হস্তান্তরের মাধ্যমে নির্বাচন দাবি করেছেন। ফখরুল সাহেবকে বলতে চাই, শেখ হাসিনা সরকারের কাছে নির্বাচন দাবি করার প্রয়োজন নেই। দেশে যথাসময়ে সরকারের মেয়াদ শেষে সাংবিধানিক বিধিবিধান অনুযায়ী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নিয়ে ন্যূনতম সংশয়ের অবকাশ নেই। বরং বিএনপি নির্বাচন দাবি করলেও নির্বাচনের মাঠ থেকে শেষ মুহূর্তে সরে যায় কি না, জনগণ সে আশঙ্কায় রয়েছে। কারণ তারা নির্বাচন ও জনগণকে ভয় পায়। তারা কখনো গণরায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়।
তিনি আরও বলেন, নির্দলীয় সরকার প্রশ্নে বলতে চাই, আগামী জাতীয় নির্বাচন বিশ্বের অন্য গণতান্ত্রিক দেশের মতো সংবিধান অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি নেত্রীই এক সময় বলেছিলেন, শিশু ও পাগল ছাড়া নিরপেক্ষ কেউ নেই। আমরা বলতে চাই, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যু এখন অতীত ইস্যু এবং দেশের উচ্চ আদালত কর্তৃক মীমাংসিত বিষয়। এ নিয়ে মাঠ গরম করে কোনো লাভ নেই। বরং নতুন বছরে বিএনপিকে রাজনীতিতে ইতিবাচক ধারা প্রতিষ্ঠা এবং জনগণের পাশে থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।