দেশের উত্তরের জেলা দিনাজপুর। হিমালয়ের কাছাকাছি হওয়ায় প্রতিবছর দিনাজপুরের বিরামপুরে শীতের প্রকোপ বেশি থাকে।
এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। গত কয়েকদিনে ঠিক মত দেখা মিলছে না সূর্যেরঘনকুয়াশা আর হিমেল ঠাণ্ডা হাওয়ায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা।
এই শীতে জীবন-জীবিকার তাগিদে ঘর থেকে বের হওয়া মানুষের ভোগান্তি একটু বেশি।
যে যার সাধ্যমত গরমকাপড় গায়ে জড়িয়ে বের হচ্ছেন নিজ গন্তব্যে।
মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) দিনাজপুরে তাপমাত্রা ছিল ১০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা দেশের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন।
এদিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তাপমাত্রা শৈত্যপ্রবাহের পর্যায়ে না থাকলেও বাতাসে আর্দ্রতা ও গতিবেগের কারণে তুলনামূলক বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে। বাতাসের আর্দ্রতা ৯৪ শতাংশ; আর গতিবেগ ঘণ্টায় ৪-৬ কি.মি.। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এটি ১০-১২ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে।
এদিকে এক সপ্তাহের ব্যবধানে জেলায় তাপমাত্রা প্রায় চার ডিগ্রি কমেছে।
গত বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) দিনাজপুরে তাপমাত্রা ছিল ১৪.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) ১২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) ১১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর শনি ও রোববার ১২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সোমবার ১২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং মঙ্গলবার ১০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, দিনাজপুর ও বিরামপুরে গত এক সপ্তাহ যাবত তাপমাত্রা কমছে। দেশজুড়ে একটা মৃদু শৈতপ্রবাহ চলছে। দিনাজপুরও বিরামপুরে এই শৈত্যপ্রবাহ আসার সম্ভাবনা রয়েছে।