মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিকাশে অঙ্গীকারবদ্ধ থেকে বাংলাদেশের সঠিক ইতিহাস ঐতিহ্য ও সম্ভাবনাময় ইতিবাচক দিক তুলে ধরার লক্ষ্যে এবং ডিজিটাল বাংলার আলোর মিছিলকে এগিয়ে নিতে ও সুস্থ সংস্কৃতি বিকাশের প্রত্যয়ে প্রতিষ্ঠিত অনলাইন চ্যানেল ইউকেবিডি টিভি প্রতিষ্টালগ্ন থেকে আজবধি নিষ্টা ও নিরলসভাবে কাজ করে চলছে। এই ধারাবাহিকতার অংশ হিসাবে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা ও আনন্দঘন পরিবেশে গত ১লা ডিসেম্বর থেকে ৩১’শে ডিসেম্বর পর্যন্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান কবিতা আবৃত্তি. যুদ্ধ জয়ের গল্প. টক শো. আলোচনা সেমিনার সহ নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ইউকেবিডি টিভিতে বাংলাদেশের মহাণ বিজয়রে সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত বিজয় উৎসব এর প্রতিটি অনুষ্ঠান সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ইউকেবিডি টিভির মাসব্যাপী“ উন্নয়নের ৫০বছর” অনুষ্ঠানের সমাপনী আন্তর্জাতিক ভার্চুয়ালি আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান গত ৩১ শে ডিসেম্বর শুকর বার দেশে বিদেশের বিশিষ্টজনের উপস্থিতিতে আনন্দঘন পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে। খবর বাপসনিউজ।
ইউকেবিডি টিভির চেয়ারম্যান কমিউনিটি লিডার এম মকিস মনসুর এর সভাপতিত্বে এবং ইউকেবিডি টিভির ম্যানেজিং ডিরেক্টর ইঞ্জিনিয়ার খায়রুল আলম লিংকন এর উপস্থাপনায় অনুষ্ঠিত ভ্যার্চুয়ালি আলোচনা সভা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রবীণ রাজনীতিবিদ সুলতান মাহমুদ শরীফ, ও বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন
৭১ এর বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাকসুর সাবেক সদস্য দেওয়ান গৌস সুলতান, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারন সম্পাদক এমএ সালাম, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি বিশিষ্ট সাংবাদিক আল আজাদ, মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক সৈয়দ নওশের আলী খোকন, মৌলভীবাজার জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি বাবলা দেব, রেড টাইমসের প্রধান সম্পাদক কবি সৌমিত্র দেব টিটু,বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) মৌলভীবাজার জেলার সভাপতি আ স ম সালেহ সুহেল, নিউপোট যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহ শাফি কাদির ও মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি মোহাম্মদ ফয়ছল মনসুর সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
ইউকে বিডি টিভির পোগ্রাম ডিরেক্টর হেলেন ইসলাম এর পরিচালনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি করেন বাচিক শিল্পী শ্রাবন্তী বড়ুয়া. সংগীত পরিবেশন করেন জনপ্রিয় শিল্পী রুবাইয়া ফারজানা রেশমা, ও নব প্রজন্মের শিল্পী তানজিম বিন তাজ প্রত্যয়,সহ অন্যান্য শিল্পীরা,
অনুষ্ঠানের পর্বের শুরুতে মহান মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লক্ষ শহীদ,জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সহ
১৫ আগস্ট নিহত তার পরিবারের সদস্য,মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী চার জাতীয় নেতা এবং ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে দেশের জন্য জীবন উৎসর্গকারী মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগ ও প্রগতিশীল আন্দোলনে নিহত সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়।গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করা হয় মুক্তিযুদ্ধের নির্যাতিতা নারীদের।
সভায় বক্তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মানের মহান কারিগর,মঙ্গা থেকে উন্নয়নশীল দেশ,পদ্মা সেতু থেকে মেট্রোরেল,কর্ণফুলী ট্যানেল,গভীর সমুদ্রবন্দর,সাগরে বিমানবন্দর, প্রায় ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রিজার্ভ এসব তাঁর মতো দক্ষ, সফল রাস্ট্র নায়কের সাহসী নেতৃত্বে সম্ভব হয়েছে বলে উল্লেখ করে বলেন
বিজয়ের ৫০ বছর ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী, মহান বিজয়ের মহানায়ক হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী, প্রধানমন্ত্রীর মধ্যম আয়ের বাংলাদেশের স্বপ্নসিঁড়িতে পদার্পণ এবং ২০৪১ সালে উন্নত ও সমৃদ্ধ মর্যাদাশীল বাংলাদেশ গড়ার ইস্পাত দৃঢ পত্যয় হোক সুবর্ণজয়ন্তীর মূলমন্ত্র।”
বক্তারা আর ও বলেন, “আমরা যদি মক্তিযুদ্ধকে হৃদয়ে ধারণ ও লালন করি, তাহলে মুক্তিযুদ্ধের যে চেতনা, সে চেতনার সঙ্গে আমরা সম্পৃক্ত হতে পারব এবং স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারব।”
বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা থামিয়ে দিতে স্বাধীনতার পরাজিত শক্তিরা দেশ বিদেশে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রাখছে। বিজয়ের চেতনা অনিরাপদ করে তুলেছে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর বিভিন্ন সময়ের আপস। বিজয়ের ৫০ বছরেও সাম্প্রদায়িক অপশক্তি হুঙ্কার দিয়ে কথা বলে। ভাস্কর্যবিরোধী কথা বলে।
স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের বিজয়ের ৫০ বছর পূর্ণ হলো। আজ ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী। একটি জাতির জন্য এই বয়স তেমন কিছু নয়; তবে দেশ হিসাবে ৫০ বছর সময় একেবারে কম নয়। চীন, ভিয়েতনাম ৫০ বছরে অনেকদূর এগিয়েছে; বাংলাদেশও পিছিয়ে নেই। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয় অনেক রক্তের বিনিময়ে অর্জিত। দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধের মাধ্যমে বিজয় অর্জন করেছি। দীর্ঘ পঞ্চাশ বছরে প্রাপ্তির হিসেবে গড়মিল থাকলেও অর্জন কম হয়নি। আমাদের প্রাপ্তির তালিকা বেশ বড়, সমৃদ্ধ, গৌরবময়। এ সময়ে আর্থ সামাজিক উন্নতি এবং মানুষের যাপিত জীবনে ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। শুধু বার্ষিক অর্থ বছরের বাজেট বেড়েছে ৭৬৭ গুণ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দেশ পেয়েছি আর তার কন্যা শেখ হাসিনা দেশকে নিয়ে গেছেন উন্নয়নের মহাসড়কে।
উভয় অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন দেশের আমন্ত্রিত বিশিষ্ট অতিথি ছাড়াও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কলকাতা ও প্রবাসের বিভিন্ন দেশ থেকে জনপ্রিয় শিল্পীদের অংশগ্রহণে মহাণ বিজয় দিবসের মাসব্যাপী বিজয় উৎসব এর সব অনুষ্ঠান প্রানবন্ত হয়ে উটেছে বলে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী সবাই ইউকে বিডি টিভির ভূয়শী প্রসংশা করেছেন।