চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলা চত্ত্বরে মতলব উত্তর যুব ফোরাম আয়োজিত “শিক্ষার মানোন্নয়ন” শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মাননীয় পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, বিশেষ অতিথি ছিলেন চাঁদপুর -২ আসনের মাননীয় এমপি এডভোকেট নুরুল আমিন রুহুল। এছাড়া অন্যান্য সাধারণ অতিথি হিসেবে ছিলেন নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যানগন। ছেংগারচর পৌরসভা নির্বাচনের কয়েকজন সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী,বর্তমান দুজন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান, বিভিন্ন স্তরের আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীগন, মতলব উত্তর থানার ওসি শাহজানপুর কামাল সাহেব, এএসপি সার্কেল ইয়াসির আরাফাত সাহেব। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার গাজী শরীফুল হাসান। অনুষ্ঠানটি চারটি পর্বে সাজানো হয়েছে। প্রথমে ফুলের তোড়া দিয়ে অতিথি বরণ ও পরিচয় পর্ব, দ্বিতীয় পর্বে জনপনেরো বক্তার বক্তব্য প্রদান। তৃতীয় পর্বে অতিথিদের ক্রেস্ট প্রদান ও সর্বশেষ এবং চতুর্থ পর্বে প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উচ্চ বিদ্যালয়ের শ’ খানেক মেধাবী ও দরিদ্র শিক্ষার্থীদের এককালীন একহাজার টাকা বৃত্তি প্রদান।
মাননীয় পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ও এমপি মহোদয় শিক্ষার মানোন্নয়ন এ জোড়ালো বক্তব্য রাখেন। এছাড়া অতিথিদের মধ্যে মহসিন মিয়া মানিক ও সার্কেল এএসপি ইয়াসির আরাফাত সাহেবে বক্তব্য রাখেন। মাধ্যমিক শিক্ষা পর্যায়ের বক্তা একেএম তাজুল ইসলাম মাধ্যমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে সামান্য আলোকপাত করেন।
তবে এরকম অনুষ্ঠান আয়োজনে ভোগান্তির স্বীকার হয়ে কিছুটা ক্ষুব্ধ ছিল ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা। তাদের মতে অনুষ্ঠানের আগে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জানানো হয়েছিল সকাল ০৯.৪৫ মিনিটে নির্দিষ্ট স্থানে রিপোর্টিং করতে হবে । তাই তারা অনুষ্ঠানের আগের রাতে প্রচণ্ড শৈত্য প্রবাহ সত্ত্বেও অতি সকাল সকাল শয্যা ত্যাগ করে ৮/১০ মাইল দূরের উপজেলা মাঠে সময় মতো রওয়ানা হওয়ার প্রস্তুতি গ্রহণ করে। ৯.৪৫ এ মাঠে পৌঁছে আসন পেতে অপেক্ষার পালা আর শেষ হয়না। মাইকে আয়োজক কমিটির লোক একটু পর পর, ” কিছুক্ষণের মধ্যেই আমাদের অনুষ্ঠান শুরু হতে যাচ্ছে …. এই বাক্যটি কমসে কম ২০ বারের মতো ঘোষণা করেন। অপেক্ষার পালা আর শেষ হয়না। অবশেষে ০১.৩০ মিনিটের পর অনুষ্ঠান শুরু হয়। এদিকে ক্ষুধা তৃষ্ণায় বাচ্চা বুড়ো সকলে কাতর!
“শিক্ষার মানোন্নয়ন” শীর্ষক আলোচনায় দুয়েকজন বক্তা ছাড়া কেহই শিক্ষার মান কিভাবে উন্নয়ন করা হবে বা করা যায় তা আলোচনা করেননি।এমনকি অনুষ্ঠানের মূল আয়োজক মানে যুব উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি একটি কাগজে লেখা কিছু বাক্য দ্রুতলয়ে পাঠ করে গেলেন তাতে শিক্ষার মানোন্নয়ন জাতীয় তেমন কোনো শব্দই ছিল বলে মনে হয় না। মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বিদগ্ধ মানুষ। তিনি নিজে ছিলেন এক মহান শিক্ষক। তাঁর বক্তৃতায় আমরা শুনলাম শিক্ষার মানোন্নয়ন সম্পর্কিত তত্ত্ব ও তথ্য বহুল আলোচনা। এছাড়া মাননীয় এমপি মহোদয় মতলব উত্তরে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা খাতে আর্থিক বরাদ্দ আনা সংক্রান্ত তথ্য উনার আলোচনায় উল্লেখ করেন। সভাপতি ইউএনও মহোদয় বক্তৃতায় প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহিদ মিনার নির্মাণের জোর তাকিদ পুনর্ব্যক্ত করেন।শিক্ষার মানোন্নয়নের সাথে ভাষাভিত্তিক জাতিরাষ্ট্রের প্রতিটি শিক্ষাঙ্গনে শহিদ মিনার থাকা অতি প্রাসঙ্গিক।