ডলারের হিসাবে ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ধনী রাষ্ট্র হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ প্রগতিশীল ফোরামের সভাপতি ও মার্কেটিং বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান। বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত এক সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমরা উন্নয়ন করছি। পরিসংখ্যান দিয়েই অনেক কিছু বলা যায়। আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ আছি। পরিসংখ্যানের বাইরে গিয়ে আমরা সবকিছু নিজেরাই দেখতে পাচ্ছি। সারাদেশের মানুষকে কাপড় পরাই, গার্মেন্টস শিল্পে সেরকম উন্নয়ন আমাদের। কৃষিতেও প্রযুক্তিগত উন্নয়ন চোখে পড়ার মতো। শিক্ষায়ও আমরা পুরুষ-নারীর সমতা নিয়ে এসেছি।’ শিক্ষাকদের বেতনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা যদি আমাদের বেতনের কথা বলি। একজন প্রফেসরের যে বেতন দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে ছিল, সেটা ১০০ গুণ বেড়েছে। কারণ আমি যখন টিচার হিসেবে জয়েন করি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি ৭৫০ টাকা স্কেলে মোট ১১০০ টাকা পেতাম। আমার বেতন এখন ১ লাখ ২০ হাজার টাকার মতো। সেভাবেই কিন্তু আমাদের চালের দাম বড়জোর ৫ গুণ বাড়ছে।’ বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের উদ্যোগে ‘মুক্তিসংগ্রামের সমৃদ্ধির পথে বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই সেমিনার হয়। এসময় স্বাগত বক্তব্য দেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, কলামিস্ট ও ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাস। সেমিনারে বাংলাদেশ প্রগতিশীল ফোরামের সভাপতি ও মার্কেটিং বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড শারফুদ্দিন আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমেদ, বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী, সর্ব ইউরোপীয় আওয়ামী লীগের সভাপতি এম নজরুল ইসলাম, দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, সম্প্রতি বাংলাদেশের সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মামুন আল মাহতাব।