শুক্রবারের এ ঘটনা কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কিনা তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে বলে খবর দিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।
ওসাকা শহরের ফায়ার ডিপার্টমেন্টের একজন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, ২৭ জনের মানুষের হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে গেছে এবং আরেকজন আহত হয়েছেন। অফিসিয়ালি নিশ্চিত করার আগে সাধারণত এভাবেই মৃত্যুর বিষয় জানানো হয় জাপানে।
তদন্তের সাথে যুক্তদের উদ্ধৃতি দিয়ে কিওডো নিউজ জানিয়েছে, একজন মানুষ ভবনটিতে আগুন লাগিয়েছেন- এমন একটি খবরে বিষয়টি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
ইউমিউরি সংবাদপত্র জানিয়েছে, একজন বয়স্ক লোক একটি ব্যাগ দিয়ে ভবনে আসেন, যাতে দাহ্য পদার্থ ছিল এবং তা জ্বলে উঠে। মিনিচি সংবাদপত্র জানিয়েছে, ধারণা করা হচ্ছে ওই ব্যক্তিটি ক্লিনিকটিরই একজন রোগী ছিলেন।
জাপানের সরকারি সম্প্রচারমাধ্যম এনএইচকে জানিয়েছে, বহুতল এই ভবনটিতে ব্যবসায়ীরা স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় দোকানপাট খোলার কিছুক্ষণ পরই আগুনের এ ঘটনা ঘটে। তবে তা ৩০ মিনিটের মধ্যে নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
এনএইচকে-তে প্রচারিত ভিডিওতে দেখা যায়, ভবনটির পঞ্চম তলা ধোঁয়ায় পরিপূর্ণ হয়ে আছে।
এর আগে ২০১৯ সালে কিটো শহরের একটি অ্যানিমেশন স্টুডিওতে অগ্নিকাণ্ডে ৩০ জনের বেশি মানুষের প্রাণহানি হয়েছিল এবং আহত হয়েছিলেন আরো অনেকে।