স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সুবর্ণজয়ন্তীতে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে কুড়িগ্রামে পালিত হল ১৬ ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস।
৯ মাসের রক্তক্ষয়ী এই যুদ্ধে অসংখ্য মানুষের রক্ত ও মা-বোনের সম্ভ্রম হারানোর বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার বিজয় দিবস সারাদেশের মতো কুড়িগ্রামে ও বর্ণিল আয়োজনে পালিত হয়।
কর্মসূচির মধ্যে ছিল প্রত্যুষে ৫০ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে বিজয় দিবস উদযাপন এর শুভ সূচনা, এরপর বীর শহীদদের স্মৃতিস্তম্ভ পুষ্পস্তবক অর্পণ, আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বীর মুক্তিযোদ্ধা, পুলিশ, আনসার ভিডিপি, বিএনসিসি, রোভার স্কাউট, গার্লস গাইড, রেডক্রিসেন্ট, মুকুল ফৌজ, কচি কাঁচার আসর সহ অন্যান্য সংগঠন এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের সমাবেশ কুচকাওয়াজ শারীরিক কসরত প্রদর্শন স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি, হাডুডু, ক্রিকেট ও ফুটবল টুর্নামেন্ট, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং প্রায়ত সকল বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবার গণের সংবর্ধনা, হেলথ ক্যাম্পেইন, ও পুরস্কার বিতরণ।
দুপুরে জাতির শান্তি সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে মসজিদ মন্দির গির্জা প্যাগোডা ও অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে দোয়া-মোনাজাত/ প্রার্থনা শেষে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। এরপর দুপুরে মহিলাদের জন্য ক্রীড়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বিকেলে কুড়িগ্রাম জেলা স্টেডিয়াম মাঠে ভার্চুয়ালি প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে উপস্থিত সকলকে শপথবাক্য পাঠ করানো হয়।
দিনব্যাপী জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, জেলা পরিষদ, স্থানীয় বিভিন্ন সংগঠনের আয়োজনে পালিত এসব কর্মসূচি ও অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক রেজাউল করিম, পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা, কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জাফর আলী এমপি , জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, ও স্থানীয় আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ আওয়ামী লীগের দলীয় অঙ্গসংগঠনের নেতা কর্মীরা।
এদিকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে বিজয় দিবসের কর্মসূচি পালন করে কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপি, জেলা জাতীয় পার্টি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ।