রাজশাহীর পবা উপজেলার কাটাখালী পৌরসভার মেয়র আব্বাস আলীকে মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন ২০০৯–এর ৩১(১) ধারা অনুযায়ী, যদি কোনো মেয়রের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলায় অভিযোগপত্র আদালতে গৃহীত হয়, সেক্ষেত্রে নির্ধারিত কর্তৃপক্ষের বিবেচনায় মেয়র প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণে সমীচীন না হলে, সরকার লিখিত আদেশের মাধ্যমে মেয়রকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করতে পারবে।
বুধবার রাতে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব ফারজানা মান্নান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ দেয়া হয়।
এতে বলা হয়, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপন সংক্রান্ত আব্বাস আলীর বিতর্কিত অডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ায় তার বিরুদ্ধে বোয়ালিয়া মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তিনি গ্রেফতার হয়ে কর্মস্থলে অনুপস্থিত আছেন। এ জন্য পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সেবা গ্রহণকারী সাধারণ নাগরিক পৌরসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন – যা পৌরসভার স্বার্থের পরিপন্থী ও প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণ থেকে সমীচীন নয় বলে প্রতীয়মান হয়েছে। এ কারণে পৌর মেয়রের পদ থেকে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা যুক্তিযুক্ত। তাই তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এর আগে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপন নিয়ে করা বিতর্কিত বক্তব্যের অডিও ছড়িয়ে পড়লে আব্বাস আলী এলাকা ছাড়েন। তার বিরুদ্ধে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর আবদুল মমিন নগরের বোয়ালিয়া মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। ১ ডিসেম্বর ভোরে রাজধানীর একটি হোটেল থেকে তাকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে র্যাব। ওই মামলায় মেয়রকে গ্রেফতার দেখিয়ে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। পরে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বৃহস্পতিবার রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আব্বাস আলী পবা উপজেলার কাটাখালী পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্যপদে ছিলেন। তিনি আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে নির্বাচিত হয়ে টানা দুই মেয়াদে মেয়রের দায়িত্ব পালন করছিলেন। তাকে ইতোমধ্যে পৌর আওয়ামী লীগ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগ থেকে অব্যাহতি দিয়ে চূড়ান্ত বহিষ্কারের সুপারিশ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে পাঠানো হয়েছে।