কুমিল্লা নগরীর পাথুরিয়া পাড়ায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান ১৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ সাহা।
হরিপদ একমাত্র ছেলে। তার মা রেণু বালার সেবার দায়িত্ব ছিল তার। ছেলের মৃত্যুর ১৫দিন পর নগরীর সাহাপাড়া নিজ বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন রেণু বালাও। বুধবার নগরীর টিক্কারচর শ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় তার।
রেনু বালার স্বপ্ন ছিল তার চির বিদায়ের সময় চিতায় আগুন দিবে (মুখাগ্নি) একমাত্র ছেলে। তার সে স্বপ্ন পূরণ হয়নি।
রেণু বালার মেজো মেয়ে বুলু বালা সাহা বলেন, আমার ভাই আমার মাকে দেখতো। মা যেদিন থেতে টের পেয়েছে হরিপদ আর নাই, সেদিন থেকে ঠিকমতো খানাদানা নাই। কেউ বাড়িতে এলে তার দিকে চেয়ে থাকত। চোখ দিয়ে ইশারা করতো। হরিপদ কই। আমার ভাইটার শোকে আমার মাও চলে গেলেন। মায়ের ইচ্ছে ছিল ছেলে যেন তার মুখাগ্নি করে। তার সে স্বপ্ন পূরণ হয়নি।
প্রতিবেশী প্রদীপ সাহা বলেন, হরিপদের মায়ের বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ছিল। তবে তার ছেলের শোকটা কাটিয়ে উঠতে পারেননি। মঙ্গলবার দিনগত রাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, রেণু বালার ছয় মেয়ে ও এক ছেলে। নিহত হরিপদ সাহা ছিলেন সবার ছোট। গত পাঁচ মাস আগে হরিপদের স্ত্রীর মৃত্যু হয়। নিঃসন্তান হরিপদের সময় কাটতো মায়ের সেবা আর কাউন্সিলর সোহেলের সাথে। গত ২২ নভেম্বর বিকেলে কুমিল্লা নগরীর পাথুরিয়া পাড়ায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান কাউন্সিলর সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেল ও হরিপদ সাহা।