ফলে দেশটিতে মহামারির তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা করছে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। ইতিমধ্যে ২১ জনের শরীরে ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে। রবিবার রাজস্থানের জয়পুরে ৯ জন এবং মহারাষ্ট্রে সাতজন করোনা রোগী শনাক্ত হন, যাদের প্রত্যেকেই ওমিক্রনে আক্রান্ত।
মহারাষ্ট্রে সাতজন ওমিক্রন আক্রান্তের মধ্যে চারজন বিদেশ থেকে ফিরেছেন। বাকি তিনজন ওই চারজনের ঘনিষ্ঠ। এতে মহারাষ্ট্রে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা হলো আট। আর ভারতে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হলো ২১। মহারাষ্ট্রে আক্রান্তরা সকলেই পুণের বাসিন্দা। অন্যদিকে, জয়পুরে রবিবার ৯ জনের শরীরে করোনার ওমিক্রন রূপের উপস্থিতি পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে রাজস্থানের স্বাস্থ্য দফতর।
জানা গেছে, ২৪ নভেম্বর নাইজেরিয়ার লাগোস থেকে ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে আসেন ৪৪ বছরের এক নারী। ওই নারীর সঙ্গে আসেন তার দুই কন্যা। পুণের ন্যাশনাল ইন্সস্টিটিউট অব ভাইরোলজি জানায়, তিনজনই করোনার ওমিক্রন রূপে আক্রান্ত। ওই নারীর ৪৫ বছরের ভাই, ভাইয়ের দুই মেয়েও করোনার ওমিক্রন রূপে আক্রান্ত হয়েছেন। এর পাশাপাশি সদ্য ফিনল্যান্ড ভ্রমণ সেরে পুণে ফেরা ৪৭ বছর বয়স্ক এক ব্যক্তিও ওমিক্রনে আক্রান্ত।
অন্যদিকে, রাজধানী দিল্লিতেও করোনার ওমিক্রন আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন বলেন, ‘ওই ব্যক্তি তানজানিয়া থেকে কয়েক দিন আগেই দিল্লিতে এসেছেন। তার পরই তিনি অসুস্থ বোধ করতে থাকেন। নমুনা পরীক্ষা করে দেখা যায় তিনি ওমিক্রনে আক্রান্ত।’
এর আগে, মহারাষ্ট্রের ডোম্বিভলি ও গুজরাটে একজন করে এবং কর্নাটকে দুজন ওমিক্রন আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছিল।