রাজনীতিক ভাবে যাত্রা শুরু করেন ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে। পরবর্তীতে আওয়ামীলীগের মূল দলে নিজের অবস্থান তৈরি করে নিয়েছেন সাংগঠনিক কর্মদক্ষতা ও মেধা দিয়ে।
বর্তমানে তিনি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ১২ নং সালন্দর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। এরই মধ্যে চতুর্থধাপে সালন্দর ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নৌকার মাঝি হিসেবে দলের মনোনীত প্রার্থী তিনি।
রবিবার এই প্রতিবেদককে দেয়া এক স্বাক্ষাতকারে আ.লীগের মনোনিত নৌকা প্রতিকের প্রার্থী আবু দায়ুম জনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে ছাত্র জীবনে রাজনীতিতে পদার্পন হয় আমার। সংগঠনকে নিজের সবটা দিয়েছি। দিন যতই গড়িয়েছে দায়িত্ব ততই বেড়েছে। এবারের আসন্ন ইউপি নির্বাচনে আমার প্রাণের দল বাংলাদেশ আ.লীগের কান্ডারি শেখ হাসিনা আমাকে ইউনিয়নবাসীর দায়িত্ব নিতে তার উন্নয়নের প্রতিক নৌকা দিয়ে জনগণের কাছে পাঠিয়েছেন। আমি চেষ্টা করবো ইউনিয়নবাসীকে সঙ্গে নিয়ে এর মর্যাদা রাখার। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যদি আমাকে দূর থেকে এতটা উপলব্ধি করতে পারে এবং তার নৌকা দিয়ে পাঠাতে পারে আমাকে বিশ্বাস করে তাহলে আমি এ ইউনিয়নের সন্তান। এখানে শৈশব কৈশর কেটেছে আমার। বয়জৈষ্ঠ্যদের কোলে পিঠে মানুষ হয়েছি। আমি কেমন তা আমার ইউনিয়নবাসী জানেন। নিশ্চয় তারা আসন্ন নির্বাচনে আমাকে নির্বাচিত করে প্রমান করবেন যে তারা আমাকে আগলে রাখতে চান। তারা আমার মাধ্যমে তাদের নাগরিক অধিকারগুলো নিশ্চিত করতে চান। প্রকৃত পক্ষে আমি এ ইউনিয়নবাসীর প্রতি ঋণী।
তাদের ঋণ আমি কখনো শোধ করতে পারবোনা ঠিকই। কিন্তু ইউনিয়নবাসী আমাকে নির্বাচিত করলে তাদের সেবা নিশ্চিৎ করে কিছুটা প্রতিদান দিতে চাই ইউনিয়নের একজন সন্তান হিসেবে। এই নৌকা প্রার্থী আরও বলেন, আমি নির্বাচিত হলে সবার প্রথম সমাজে সৃষ্টাচার নিয়ে কাজ করবো। সমাজকে শৃঙ্খল করতে সৃষ্টাচারের বিকল্প নেই। যে সমাজে মুরুব্বীদের সম্মান থাকবে শতভাগ। তাদের সেবা দিবে প্রতিটি ঘর, প্রতিটি মানুষ। এরপর শিক্ষা ও বাল্যবিবাহ নিয়ে কাজ করতে চাই। বলতে পারেন রাস্তা ঘাট ব্রীজ কালভার্ট তবে কি করবোনা? এসব হবে। কারন নৌকা যেদিন থেকে বাংলাদেশে নির্বাচিত হয়েছে সেদিন থেকে বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে অবস্থান করছে।
আমি নৌকা নিয়ে নির্বাচিত হলে ইউনিয়নের অবকাঠামোর উন্নয়ন দেশের ধারাবাহিক উন্নয়নের অংশ হিসেবেই হবে। এ সময় তিনি দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আগামি ২৬ ডিসেম্বর নির্বাচনে সবার কাছে একটি করে ভোট নৌকার মার্কায় দিতে ভোটারদের আহ্বান করেন।ইতিমধ্যে প্রার্থীদের বৈধতা বাছাইয়ের কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন অফিস। আগামি ৭ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রার্থীদের প্রতিক বরাদ্দ দেওয়া হবে। এর পর আনুষ্ঠানিক ভাবে নির্বাচনী প্রচারণায় নামবে প্রার্থীগণ।
নির্বাচন সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করতে বদ্ধ পরিকর সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে যেতে পারে এর জন কড়া নিরাপত্তা জোড়দার করবে প্রশাসন। আগামি ২৬ ডিসেম্বর চুতুর্থ ধাপে ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।