চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার অন্তর্গত ভূজপুর থানাধীন ৩ নং নারায়নহাট ইউনিয়নের চানপুর গ্রামে ২০ বিঘা জমি নিয়ে প্রতিষ্ঠিত “রুহামা ফ্রুটস” এর পেপে বাগান।
বাগান টি প্রতিষ্ঠা করেন দুই বন্ধু রুকুনদ্দিন এবং
মামুন উভয়ের যৌথ উদ্যোগে। বহু সপ্ন ও কঠোর সাধনার মাধ্যমে তিল তিল করে গড়ে তুলেছেন তাদের স্বপ্নের কৃষি খামার। নিজস্ব জমি সংকটের কারনে ১০ বছরের চুক্তিতে লিজকৃত জমিতে সপ্নের বাগান টি গড়ে তুলেন।
কিন্তু সেই সপ্ন বেশিদিন স্থায়ী হতে দেয় নি। সবে মাত্র বাজারজাত শুরু হবে, আর তখনই নেমে আসে ঘোর অমানিশা।
জমির মালিক পক্ষের মধ্যে ২৫ শতক জমি নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। তার ফল গুনতে হয় লিজ নেওয়া কৃষি উদ্যোক্তাদের। লিজের শর্তে বাগানের মালিক তথা কৃষি উদ্যোক্তাদের কোন ক্ষতিপূরণ না দিয়েই রাতের অন্ধকারে তারা জমি দখলের জন্য ফলন্ত গাছগুলো কেটে ফেলেছেন। এতে উদ্যোক্তারা মারাত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হন।ক্ষতিগ্রস্ত হন ভোক্তারা,ক্ষতিগ্রস্ত হয় মোট জাতীয় দেশজ উৎপাদন। যা অত্যান্ত নিন্দাজনক।
বাংলাদেশের কৃষক জনগোষ্ঠীর বেশির ভাগ প্রান্তিক,ভুমিহীন ও ক্ষুদ্র প্রকৃতির। বেশির ভাগই সামান্য জমির মালিক অথবা ভুমিহীন হওয়ায় তারা বর্গা অথবা লিজ জমিতেই কৃষি কাজ করে থাকেন। কিন্তু পথিমধ্যে জমির মালিকপক্ষদ্বয়ের এমন কর্মকান্ড হাজারো কৃষিউদ্যোক্তাদের নিঃস্ব করে তুলে। তাই এমন কর্মকান্ডের প্রতিরোধে কৃষি উদ্যোক্তাদের টিকিয়ে রাখতে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি অথবা জরিমানা করার জন্য সরকারের উচ্চ মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করা এখন সময়ের দাবি। ভবিষ্যতে কেউ যাতে এমন দুঃসাহস দেখাতে না পারে তার জন্য
খুব দ্রুত দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন সচেতনমহল।