খুলনা জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির নভেম্বর মাসের সভা আজ সকালে জেলা প্রশাসক মোঃ মনিরুজ্জামান তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় খুলনা-৬ সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ আক্তারুজ্জামান বাবু বলেন, চলমান ইউনিয়ন পরিষদ সাধারণ নির্বাচনের প্রথম দুইধাপ অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হয়েছে। খুলনায় নির্বাচনের দিন বৃষ্টি উপেক্ষা করে ৭৭ থেকে ৮০ শতাংশের বেশি ভোটার ভোটদান করেছেন। যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে না তারাই নির্বাচনে মানুষের অংশগ্রহণ নিয়ে প্রশ্ন তোলে। তিনি বলেন, অধিকতর নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রত্যেক মন্দির এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা প্রয়োজন। বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সোর্স পরিচয়ে কেউ যেন জনভোগান্তি সৃষ্টি করতে না পারে সেদিকে নজর রাখতে হবে।
সভায় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান জানান, সমাজে মাদকের বিস্তার ঘটলে সকলের সন্তান ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। খুলনায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। সামাজিক শৃঙ্খলা রক্ষায় নগর ও গ্রামীণ এলাকার চায়ের দোকানগুলোতে রাতের বেলা নির্দিষ্ট সময়ের পরে টেলিভিশন সেট বন্ধ রাখার বিষয়টি ভেবে দেখা যেতে পারে।মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ দপ্তরের উপপরিচালক মোঃ রফিকুজ্জামান বলেন, গত মাসে জেলায় মাদক সংক্রান্ত একশত ৬২টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।জেলা প্রশাসক মোঃ মনিরুজ্জামান তালুকদার সভাপতির বক্তৃতায় বলেন, অপরাধীর মূল পরিচয় সে অপরাধী। রূপসার শিয়ালিতে সাম্প্রদায়িক ঘটনায় জড়িতরা অবশ্যই আইনের আওতায় আসবে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও করোনার তৃতীয় ঢেউ প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পুলক কুমার মন্ডল সভায় বিগত মাসে খুলনা জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তুলে ধরেন। এসময় জানানো হয়, খুলনা জেলা অধিক্ষেত্রে বিগত অক্টোবর মাসে ১৬০ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে যা বিগত সেপ্টেম্বর মাসে জেলায় দায়ের হওয়া মামলা থেকে ১৩টি কম। খুলনা মহানগরী অধিক্ষেত্রে অক্টোবর মাসে ১৫২টি মামলা দায়ের হয়েছে যা বিগত সেপ্টেম্বর মাসে দায়ের হওয়া মামলা হতে সাতটি বেশি।সভায় জনপ্রতিনিধি, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা ও জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।