হবিগঞ্জ -লাখাই রোডে লাখাই থেকে ৫৫ টাকা ভাড়া দিয়ে হবিগঞ্জ শহরে যাতায়াত করতাম।
করোনা আসায় ৭০ টাকা থেকে ৭৫ টাকা দেওয়া লাগতো। এখন ও সেই ভাড়া আদায়ের চেষ্টা চলছিলো। তবে সেই বেশি ভাড়া আদায়ের আগুনে প্রশাসন পানি ঢাললেও শেষ রক্ষা আমাদের হলো না। এক প্রকার জিম্মি হয়েই প্রশাসনের নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে গন্তব্য অনুযায়ী ৫ থেকে ১০ টাকা বেশি দিতে হচ্ছে আমাদের। প্রতিদিন গাড়ির চালকদের সাথে তর্ক বির্তক ছাড়া আর কিছুই করার নেই আমাদের।
উপরের কথাগুলো ক্ষোভ নিয়ে বলছিলেন জুয়েল মিয়া নামে একজন যাত্রী।
শুধু জুয়েল মিয়াই নন এরকম অনেক যাত্রীই তাদের মনে ক্ষোভ পোষণ করে আছেন, কিন্তু নেই কোনো প্রতিকার।
হবিগঞ্জ লাখাই রোডে সিএনজি ও যাত্রীদের অবস্থা বিবেচনা করে উপজেলা প্রশাসন উপজেলার বিভিন্ন স্থানের ভাড়া নির্ধারণ করে দিয়েছেন। সেখানে স্পষ্টভাবে ভাড়ার তালিকা গাড়িতে ঝুলিয়ে রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেই নির্দেশনা অমান্যকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশনা রয়েছে। তবে চালকরা কার্যত কিছুই মানছেন অভিযোগ সাধারণ যাত্রীদের।
মইনুল তালুকদার নামে এক যাত্রী জানান, হবিগঞ্জ থ- ১১২৭৯২ সিরিয়াল নাম্বারের এক সিএনজি চালক কালাউক থেকে মোড়াকরি যাওয়ার পর আমার কাছ থেকে ভাড়া আদায় করছে ২০ টাকার পরিবর্তে ২৫ টাকা।
তখন আমি উপজেলা প্রশাসনের নির্ধারন করা ভাড়ার সম্পর্কে বললে সিএনজি চালকসহ অন্যান্য চালকরা বলে আমরা যত টাকা ভাড়া নির্ধারন করি তাই নিব।
মনির, জসিম, মাইদুল নামে তিনজন ঢাকাগামী যাত্রী জানান, বামৈ গ্রামের সেলু মিয়া নামক এক সিএনজিচালক বামৈ থেকে মোড়াকরি গন্তব্যে আমাদের কাছ থেকে ১৫ টাকার ভাড়া ২০ টাকা আদায় করে। অতিরিক্ত ৫টাকা বেশি নেওয়ার কারন জানতে চাইলে তিনি সদুত্তর দিতে পারেন নি । এছাড়া গাড়িটি নাম্বার প্লেটবিহীন ও ছিল।
সাখাওয়াত হোসেন নামে একজন জানান, কালাউক থেকে হবিগঞ্জ থ- ১১৫৯৮৯ নম্বরের একটি সিএনজি ২০ টাকার ভাড়া ২৫ টাকা আদায় করে। প্রশাসনের নির্ধারিত ভাড়ার ব্যাপারে বললে উল্টো কথা ঘুরিয়ে জোরজবরদস্তি করে ভাড়া আদায় করে। প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী গত ২২ শে অক্টোবর থেকে নির্ধারিত ভাড়া আদায় কার্যকর হওয়ার কথা বলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে লাখাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লুসিকান্ত হাজংয়ের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি কল রিসিভ করেন নি ।