শুক্রবার বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হাজীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন মন্দির পরিদর্শন করেন মেজর (অবঃ)রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম
গত ১৩ অক্টোবর কোরআন অবমাননাকে কেন্দ্র করে হাজীগঞ্জ বাজারে মন্দির ভাংচুর ও ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এতে হিন্দু যুব মহাজোট চাঁদপুর জেলা শাখার সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মানিক সাহা সহ ৫জন নিহত হয়। এবং সংঘর্ষের পর হামলাকারীরা বিভিন্ন মন্দিরে হামলা চালায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাজীগঞ্জ থানায় ১০টি মামলা করা হয়।
পুলিশ এ পর্যন্ত ৩১ জনকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন। এছাড়া হাজীগঞ্জ থানার সবকটি মামলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে পুলিশ জানায়।
ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করে মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম বলেন, হামলাকারীদের চিহ্নিত করা হয়েছে। হাজীগঞ্জে গত ১শ ৫০ বছরে এমন ঘটনা ঘটেনি।
হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবেনা। আমি ঢাকায় গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাথে এ বিষয়ে কথা বলবো।
এসময় উপস্থিত হামলারশিকার পরিবার গুলোর কথা শুনেন।
পরে তিনি সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের পরিবারের সাথে কথা বলে সেদিনের ঘটনার বর্ণনা শুনেন।
তিনি নিজেই হতভংগ হয়েছেন।
তিনি সাংবাদিকদের জানান- আমাদের আইন শৃংখলা বাহিনী এ নিয়ে কাজ করছে। তদন্তের স্বার্থে এখানে অনেক কথা বলা যাচ্ছে না। আওয়ামীলীগ হিন্দু সম্প্রদায়ের সাথে আছে, থাকবে।
তিনি দুইদিনের সফরে প্রথমে হাজীগঞ্জ উপজেলার ৪নং কালচোঁ দক্ষিন ইউনিয়নের রামপুর চৌধুরী বাড়ির মন্দিরে যান। সেখান থেকে তিনি হাজীগঞ্জ বাজারের রামকৃষ্ণ সেবাশ্রম, পৌর শশ্মানঘাট মন্দির ও শ্রী শ্রী রাজালক্ষী নারায়ন জিউর আখড়ায় যান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন হাজীগঞ্জ পৌর মেয়র আ.স.ম মাহবুব উল আলম লিপন, শাহরাস্তি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাছরিন জাহান শেফালী, পৌর মেয়র আব্দুল লতিফ, হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার, জেলা আওয়ামীলীগের কোষাধ্যক্ষ আহসান হাবীব অরুন, হাজীগঞ্জ পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সৈয়দ আহমেদ খসরু, জেলা পরিষদের সদস্য হাজী জসিম উদ্দিন, উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি রুহিদাস বনিক, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক মাসুদ ইকবাল, যুগ্ম আহবায়ক জাকির হোসেন সোহেল, পৌর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুন্সী মোহাম্মদ মনির, সাংগঠনিক সম্পাদক শামছুজ্জামান শামছু মুন্সী, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল আলম বেপারী ও সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাব্বী প্রমুখ।