শত বাধা উপেক্ষা করে ডিগ্রি পরীক্ষা দিচ্ছেন শারীরিক প্রতিবন্ধী মো. মাহবুব আলম। শারীরিক প্রতিবন্ধীকতা দমাতে পারেনি তাকে। কারো বোঝা না হয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াতে চান তিনি। বলছিলাম চাঁদপুরের কচুয়ার শ্রীরামপুর গ্রামের শারীরিক প্রতিবন্ধী মাহবুব আলমের কথা। বৃহস্পতিবার বিকালে এমন চিত্রে দেখা গেছে চাঁদপুরের কচুয়ার পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে ।
মাহবুব আলম উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের গাজী জাফর আলীর ছেলে। গাছ থেকে পড়ে পা দুটি তার বিকল হয়ে যায়। তার দুই পাঁ একেবারে বিকল হওয়ায় হাঁটতে পারেনা। কোন রকম হামাগুরি ও হুইল চেয়ার দিয়ে পরিক্ষা দিতে যায় সে। শারীরিক প্রতিবন্ধীকতা হওয়া সত্বেও হাল ছাড়েনি মাহবুব আলমের বাবা-মা। সে উপজেলা শ্রীরামপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১৫ সালে এসএসসি পরীক্ষা ও বঙ্গবন্ধু সরকারি ডিগ্রী কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়ে ২০১৭ কৃতিত্বের সাথে পাশ করেছে। সে বর্তমানে কচুয়া সরকারি বঙ্গবন্ধু ডিগ্রি কলেজে ডিগ্রি ২য় বর্ষে ব্যবসা শাখায় লেখাপড়া করছে।
পরীক্ষার কক্ষে সবাই বেঞ্চে বসে একমনে খাতায় লিখে যাচ্ছে প্রশ্নের উত্তর। তাদের পাশে হুইল চেয়ারে বসে লিখছে শারীরিক প্রতিবন্ধী মাহবুব আলম। তার হাতে কলম, টেবিলের ওপর পরীক্ষার খাতা। বিশেষ কৌশলে বসে আঙুলের ফাঁকে কলম রেখে মনোযোগ দিয়ে লিখে যাচ্ছে সে।
মাহবুব আলমের বাবা গাজী জাফর আলী জানান, ছেলে পড়াশুনা করার অনেক ইচ্ছে। কখনো কারো কাছে বোঝা হতে চায়নি। তাই তাকে তার ইচ্ছে মতো আমরা চেষ্ট করি তার লেখাপড়া চালিয়ে যেতে। পড়াশুনা শেষে ভালো একটা চাকরি করার আশা তার। সবার কাছে ছেলের জন্য দোয়া কামনা করেছেন তিনি।
সহপাঠি মামুন পাঠান,সুমি আক্তার,রিফাত বলেন,মাহবুব আলম হিমেল শারিরীক প্রতিবন্ধী এটা আমরা কখনো ভাবিনি। তবে নিজের পায়ে দাড়াতে চায় সে। ভবিষ্যতে লেখাপড়া শেষ করে ভালো একটা চাকরি যেন পায় এটাই কামনা করি আমরা।
শারীরিক প্রতিবন্ধী মাহবুব আলম জানান, তার বাবা-মা সহ সহপাঠিরা তাকে সব রকম সাহায্য সহযোগিতা করেন। তবে কারো বোঝা না হয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াতে চান তিনি। লেখা পড়া শেষ করে সুন্দর একটি চাকুরি করার আশা তার।
কচুয়া: শারীরিক প্রতিবন্ধী মাহবুব আলম হিমেল।