চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জের উপজেলার গুপ্টি ধোয়া বাড়ীর মেয়ে পূজা দে এখন জান্নাতুল মাওয়া।
এই নাম দেওয়ার পেছনে আছে নেপথ্যে বিষয়। জানা যায় গুপ্টি বাজারের শামীম ওচমান ওরোফে মানিক গত ১১ই সেপ্টেম্বর নোটারির মাধ্যমে চাঁদপুরে এই পূজা দে থেকে জান্নাতুল মাওয়া নাম হলফনামা করান।
এবং পূজা দে একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী।
তার বাবা লক্ষণ চন্দ্র দে এবং মাতা ঝুমুর রানী দে দৈনিক বাংলার অধিকার কে জানান -আমরা নরসিংদী-তে থাকি,পূজা তার দিদিমা ও দাদু অসুস্থ থাকায় ফরিদগঞ্জের গুপ্টিতে তার মামার বাড়ীতে আসে এবং তার দিদিমা ও দাদুর দেখাশুনা করতো।
লক্ষণ দে আরও জানান, কলেজে আসা যাওয়ার পথে ওৎ পেতে থাকা শামীম ওচমান ওরোফে মানিক, পূজাকে বিভিন্ন ভাবে ইঙ্গিতে ডিসটার্ব করতে, এবং তাকে বিভিন্ন কথা বলা হতো, আমরা ঢাকায় বসবারত আছি, পুজাকে হয়ত বিভিন্ন সময়ে হুমকি দুমকি দিয়ে আসত আমরা শুনেছি, আমার মেয়েকে কিভাবে কব্জা করে নেয় আমরা জানিনা
পুজার মামা দেবজীত দৈনিক বাংলার অধিকার কে মুটো ফোনে জানান পুজার কোন খোজ খবর এখনও পাইনি আমরা তবে বিভিন্ন ফেইবুক পোস্টে দেখতে পাই পুজার ছবি।
অবশেষে ইসলাম ধর্মে জান্নাতুল মাওয়া নাম দিয়ে ১১ই সেপ্টেম্বর সকালে ভাগিয়ে নিয়ে যায়। দেবজীত বলেন, পূজা একাদশী করতো। আমরা ভাগ্নি নিজে চলে যাবে এটা কখনও হবে না।
আমরা বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে সরকারে কাছে আবেদন জানাই আমাদের মেয়েকে ফেরত দিন।
দেবজীত আরও জানান, আমার ভাগ্নি পুজা সবসময়ই সকল হিন্দু ধর্মীয় অনুষ্ঠানেও সে সরব ছিলো। তবুও কিভাবে আবেগ প্রবন হয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে বুজতে পারছি না।
শামীম ওচমান ওরোফে মানিক নামের যেই ছেলেটা পূজা দে কে ভাগিয়ে নিয়ে গেছে, সে সম্পূর্ণ বেকার এবং লম্পট প্রকৃতির ছেলে।
আমরা ফরিদগঞ্জ থানায় একটি মিসিং ডায়েরি করেছি। আমরা যে কোন মূল্যে পূজাকে ফিরে পেতে সকল আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সহ সকল মানবাধিকার সংগঠন ও সংবাদকর্মীদের সহযোগিতা চাই।