চাকুরি এমপিওভূক্ত হওয়ার আশায় বিনা বেতনে শিক্ষকতা করে যাচ্ছেন ২০ বছর ধরে। এর মধ্যে দেড় বছরের বেশি করোনার কারনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় স্ত্রী,সন্তান ও পরিজন নিয়ে না খেয়ে দুর্বিষহ জীবন কাটান কামরুজ্জামান। আত্মীয় ও বন্ধু-বান্ধবের পরামর্শে ১১মাস আগে নিজ গ্রামের বাড়ির পাশে মুদি দোকান দেন শিক্ষক কামরুজ্জামান।
বর্তমানে ওই মুদি দোকানের আয় দিয়ে স্ত্রী,৩ ছেলে ও বৃদ্ধ মায়ের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন তিনি। কামরুজামান চাঁদপুরের কচুয়া পৌরসভার কোয়া-চাঁদপুর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক। তিনি দৈনিক বাংলার অধিকার কে জানান, মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে তিনি ওই মাদ্রাসার শিক্ষক হিসেবে যোগদান করে শিক্ষকতা করে যাচ্ছেন। কিন্তু সরকার পালাবদল হলেও নানান কারনে মাদ্রাসাটি আজও এমপিও ভূক্ত হয়নি। ফলে বাধ্য হয়ে বেতন ভাতা না পাওয়ায় নিজ গ্রামে কোয়া-চাঁদপুর বাজারে মুদি দোকান পরিচালনা করে যাচ্ছি।
কামরুজ্জামান আরো জানান, একদিকে করোনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকা, অপর দিকে মাদ্রাসাটি ননএমপিও,যার কারনে বেতন ভাতাদি না থাকায় পরিবার-পরিজন নিয়ে না খেয়ে কষ্টে জীবন কাটাচ্ছি। কোনো উপায়ন্ত না পেয়ে নিজের কিছু আর্থিক সম্বল দিয়ে কোয়া-চাঁদপুর বাজারে একটি মুদি দোকান দিয়েছি। ফলে এখনো আর্থিক সংকট কাটাতে পারছি না। করোনার শুরতে একবার প্রনোদনা পেলেও আর কোনো প্রনোদনা পাইনি। তার মতো ওই সুপারসহ মাদ্রাসার ১৩জন শিক্ষক ও ৩জন কর্মচারী সীমাহিন কষ্টের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। করোনার রেষ কাটলে মাদ্রাসাটি এমপিওভূক্ত করনের জোরদাবি জানান মাদ্রাসার শিক্ষক ও এলাকাবাসী।
কচুয়া: কচুয়ার কোয়া-চাঁদপুর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক কারুজ্জামান নিজ দোকানে এভাবে প্রতিদিন ব্যবসা পরিচালনা করছেন।