ফেনীর ছাগলনাইয়া পৌরসভাধীন ৫ নং ওয়ার্ড পশ্চিম ছাগলনাইয়া মাস্টারপাড়া মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সমর্থক পরিবারের নাজেহাল অবস্থা মামলাবাজ নুর নবীর কারনে। মামলাবাজ নুর নবী একই এলাকার মৃত মফিজুর রহমান’র সন্তান। দীর্ঘ দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে ঐ এলাকার ওবায়দুল হক মাস্টার ও তাঁর ছেলে মোঃ জহিরুল ইসলামকে হয়রানি ও ছাত্র শিবিরের সন্ত্রাসী বাহিনীর ধারা নির্যাতন করে আসছে। ২০০০ সালে বিএনপি জামায়াত ক্ষমতা আসার পর মাস্টার ওবায়দুল হক মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সমর্থক হওয়ায় ঐ সময় প্রশাসন ও সন্ত্রাসী বাহিনী ধারা ভুক্তভোগীদের ৭ গন্ডা (১৪ শতাংশ) জায়গা জোর পূর্বক দখল করে নেয়। নুর নবী ভুক্তভোগীদের জায়গা দখল করে ২০১৪ সালে ফেনীর বিজ্ঞ আদালতে ১৪৫ ধারায় মামলা দায়ের করে যাহা পিটিশন নং- ৫৩৩/১৪, আদালত তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর মামলাটি খারিজ করেন। কিন্তু এক বছর পর পুণরায় একই ভূমি দখল করার লক্ষ্য ফেনীর বিজ্ঞ আদালতে মামলা করে, ঐ মামলাও বিজ্ঞ আদালত খারিজ করে দেন। পরবর্তীতে শালিশী বৈঠকে উপস্থিত সমাজের গন্যমান্য লোকজন বুঝতে পারে নুর নবীর দলিলটি ভুয়া। আদালতের মাধ্যমে পিটিশন মামলা ১৭/১৬ সঠিক দলিল যাছাই করতে গেলে ফেনী ডিবি তদন্ত প্রতিবেদন এর উপর নুর নবীকে গ্রেফতার করা হয়।
এতকিছুর পরও মামলাবাজ নুর নবীকে দমিয়ে রাখা যায়নি। ২০১৭ সালে সে আবার ১৪৫ ধারা মামলা ও একটি দেওয়ানি মামালা নং- ৭৬/১৬ দায়ের করে। আদালত তদন্ত প্রতিবেদনে ও শুনানির পর দুই মামলা খারিজ করে দেন। নুর নবী তার ফেইসবুক আইডিতে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর নামে আপত্তিকর পোস্ট শেয়ার করায় ঢাকা মতিঝিল থানা একটি জিডি নং- ১৩০৫ এবং সাইবার ক্রাইম অভিযোগ নং- ৭৫৩ মামলা দায়ের করেন বাদী জহিরুল ইসলাম। নুর নবী বিষয়টি জানতে পেরে বাদীর জন্য ফেনী বিজ্ঞ আদালতে চাঁদাবাজির মামলা করেন। এ মামলার পিবিআই তদন্তে মামলাটি খারিজ হয়ে যায়।
এমতাবস্থায় বাদী জহিরুল ইসলাম জামায়াত নেতা নুর নবীর মিথ্যা মামলা হয়রানি থেকে মুক্তি চেয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, মাননীয় আইনমন্ত্রী, ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারি এমপি ও ছাগলনাইয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মেজবাউল হায়দার চৌধুরী’র নিকট সুদৃষ্টি কামনা করে ছাগলনাইয়া স্থানীয় একটি রেষ্টুরেন্টে বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩ টায় সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন বাদী জহিরুল ইসলাম।