একই সঙ্গে প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে দিনে ৬ ঘণ্টার পরিবর্তে সর্বোচ্চ ৩ ঘণ্টা সিএনজি স্টেশন বন্ধের। প্রস্তাবে ইতিবাচক সায় দিয়ে পেট্রোবাংলা, বলছে, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে মন্ত্রণালয়।
বিদ্যুৎকেন্দ্রে পর্যাপ্ত গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পিক আওয়ারে বন্ধ রাখা হতো সিএনজি ফিলিং স্টেশন। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস-এলএনজি যুগে প্রবেশ করার পর তুলে নেওয়া হয় সিএনজি স্টেশনে গ্যাস রেশনির।
তবে মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর পেট্রোবাংলা কার্যালয়ে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে বৈঠকে বসেন সিএনজি ফিলিং স্টেশনের মালিকরা। বৈঠকে ৬ ঘণ্টা থেকে কমিয়ে দিনে ৩ ঘণ্টার জন্য সিএনজি স্টেশন বন্ধের প্রস্তাব রাখা হয়। এতে ইতিবাচক সায় দিয়ে পেট্রোবাংলা বলছে, তাদের সুপারিশ পাঠানো হবে মন্ত্রণালয়ে। আর বুধবার থেকে কার্যকর হচ্ছে না সিএনজি ফিলিং স্টেশনে গ্যাস রেশনিং।
সিএনজি ফিলিং স্টেশন ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মাসুদ খান বলেন, আম’রা একটা প্রস্তাব রেখেছি তাদের কাছে বন্ধ ৩ ঘণ্টার বেশি না হয়। আর কাল থেকে বন্ধ যেন না হয়।
তবে কোভিডের ধাক্কা সামলে সব কিছু স্বাভাবিক ছন্দে ফেরায় আবারো বাড়ছে বিদ্যুতের চাহিদা। তাই সাশ্রয়ী মূল্যে বিদ্যুৎ নিশ্চিতে গ্যাসের যোগান বাড়ানোর ওপর জো’র দেয় সরকার। সেক্ষেত্রে রোববার জারি করা হয় প্রতিদিন বিকেল ৫টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত ৬ ঘণ্টার জন্য সিএনজি স্টেশন বন্ধ রাখার। যা কার্যকর হওয়ার কথা ছিল বুধবার থেকে।
গ্যাস সংকট কা’টাতে এলএনজি আম’দানি কেন আরও বাড়ানো হচ্ছে না এর জবাবে বিশ্ববাজারের দামের ঊর্ধ্বমুখীকে কারণ হিসেব তুলে ধরে পেট্রোবাংলা।
পেট্রোবাংলার (অ’পারেশন ও মাইন বিভাগ) পরিচালক আলী মো. আল মামুন বলেন, আম’রাও প্রস্তাবটা দেখতে চাচ্ছি যে এটা ম্যাচ করে কিনা। তাদের যে বক্তব্যটা এসেছে সেটা বিবেচনা করে মন্ত্রণালয়ে পেশ করা হবে।
পরিচালক আলী মো. আল মামুন বলেন, অসম্ভব রকমের বেশি যে, এটা আমাদের জন্য ভায়েবল হবে না, সেকারণেই আসলে এখন করা হচ্ছে না। তবে এটা আম’রা চেষ্টা করেছি যে খুব তাড়াতাড়ি এলএনজি আম’দানি করা যায় কিনা, সেটা ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
পেট্রোবাংলা বলছে, নভেম্বর-ডিসেম্বর পর্যন্ত থাকতে পারে সিএনজি স্টেশনে গ্যাস রেশনিং। শীত এলে পরিস্থিতি বিবেচনায় নেওয়া হবে নতুন সিদ্ধান্ত।