ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে হাজীগঞ্জ উপজেলার পূর্ব গন্ধব্যপুর দুই গ্রামের মধ্যে রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষ ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের একাধিক লোক মারাত্মক রক্তাক্ত জখমের স্বীকার হয়েছেন।
হাজীগঞ্জ থানা পুলিশের উপস্থিতিতে পরিবেশ সাময়িক নীরব থাকলেও উভয় পক্ষের মধ্যে যেকোন সময় পুনরায় মারাত্মক সংঘর্ষের সম্ভাবণা পরিলক্ষিত হচ্ছে।
এলাকায় এ নিয়ে চরম থমথমে অবস্থা বিরাজমান।
খোজ নিয়ে জানা যায়, হাজীগঞ্জ উপজেলার পূর্ব গন্ধব্যপুর ও পূর্ব হরিপুর গ্রামের গন্ধব্যপুর গুচ্ছগ্রাম বালুর মাঠে ১০/০৯/২০২১ তারিখ রোজ শুক্রবার বিকেল ৩- ৩ঃ৩০ ঘটিকার সময় গুচ্ছ গ্রাম বনাম পূর্ব গন্তব্যপুরের ছোট ছোট ছেলেদের মধ্যে ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
একপর্যায়ে তীব্র প্রতিযোগিতামূলক মেছে গন্ধব্যপুরের পক্ষে একটি গোল দিলে গুচ্ছগ্রামের পক্ষ ঐ গোলটি মেনে নেয়নি।
এ নিয়ে উভয় পক্ষের মাঝে কথা কাটাকাটি শুরু হলে একপর্যায়ে তা হাতাহাতিতে রুপ নেয়।পরবর্তীতে তা মারাত্মক মারামারিতে রুপান্তরিত হয়ে যায়।
প্রাথমিক দিকে উপস্থিত লোকজনের সহযোগিতায় মারামারি বন্ধ হলেও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ নিয়ে এর সমাধানের নিমিত্তে স্থানীয় বাজারে সালিশ বসলে কোন পক্ষই শালিশ মেনে নেয়নি সেখানে ছোটদের পাশাপাশি বড়রাও তর্কে জড়িয়ে পরলে উভয় গ্রামের মধ্যে মারাত্মক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটে এতে উভয় পক্ষের একাধিক ব্যক্তি মারাত্মক জখমের স্বীকার হয়েছেন।
এদিকে গুচ্ছ গ্রাম পক্ষের লোকজনের মধ্যে দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মহিনের মাথা ফেটে যায় তাকে স্থানীয় বাজারে চিকিৎসা দিলেও গন্ধব্যপুর হরিপুরের কালা চন্দ্র দাসের মাথার আঘাতে মারাত্মক ভাবে আহত হন।
এদিকে কালা চন্দ্র দাস মারাত্মক হওয়ায় তাকে প্রথমে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।
কালা চন্দ্র দাস
বর্তমানে তার অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন।
এর মাঝেই গুচ্ছ গ্রামের নারী পুরুষ সহ সকলে একযোগে পূর্ব ন্ধব্যপুর হরিপুর দাস বাড়িতে হামলা চালিয়ে তাদের ঘর দরজা দেশিয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা দিয়ে ভেঙে দেয় এবং হিন্দুদের মন্দিরের তালা ভেঙে ভিতরে ডুকে তান্ডব চালায়।
খবর পেয়ে হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস আই হারনুর রশিদ কে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে গণনাস্থলে পাঠালে পরিস্থিতি সাময়িক ভাবে নিয়ন্ত্রণে আসে।
এস আই হারুনুর রশিদ দৈনিক বাংলার অধিকার কে জানান, হিন্দু বাড়িতে হামলার বিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, গন্ধব্যপুরের হীরা মেম্বার ও হরিপুরের আক্তার মেম্বাররের নেতৃত্বে উভয় পক্ষ আগামীকাল অর্থাৎ ১১/০৯/২০২১ রোজ শনিবার হাজীগঞ্জ থানার গোলঘরে এই ঝামেলা নিয়ে বসার কথা রয়েছ।
স্থানীয় ভাবে আপোষ মিমাংসা না হলে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ সর্বোচ্চ আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন।
এবং বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এই রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত এ ব্যপারে কোন মামলা মোকদ্দমা হয়নি।
এলাকায় বর্তমানে এ নিয়ে মারাত্মক থমথমে অবস্থা বিরাজমান।