সোমবার বিকেলে রাজারহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদ সোহরাওয়ার্দী বাপ্পী উপজেলার ঘড়িয়াল ডাঙ্গা ইউনিয়নের গতিয়াসামের তিস্তায় ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরদর্শন করেন।জানা যায় গত ঈদুল উল ফিতর হতে গতিয়াসাম ও বগুড়া পাড়া দুটি গ্রামে এক তৃতীয়াংশ তিস্তানদী গর্ভে চলে যায়।কাচাপাকা প্রায় দুই হাজার বসত বাড়ি সহ স্কুল মসজিদ মাজার শরিফ তিস্তার আগ্রাসী ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে গেছে।বসত ভিটা হারা পরিবার গুলো এখন মানবেতর জীবনযাপন করছে।উপজেলা প্রশাসন থেকে ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড নদীভাঙ্গন রোধে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ও জিও টিউব দিয়ে নদীর ভাঙ্গন রোধের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।নদী ভাঙ্গনের শিকার হওয়া অসহায় ও নিঃস্ব হয়ে যাওয়া পরিবার গুলোর খোজ খবর নিতে উপজেলা চেয়ারম্যান জাহিদ সোহরাওয়ার্দী বাপ্পী ভাঙ্গনকবলিত এলাকায় আসেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মানুষের সাথে কথা বলে আশ্বস্ত করেন।
সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন সত্যিই আমি ভীষণ ব্যতিত।আমি যা চোখে দেখলাম তা বিশ্বাস করার মত না।কয়েক দিন আগেও এসেছিলাম কিন্তু ভাঙ্গনের তীব্রতা এতো বেশী যে নিয়ন্ত্রন করা দুরহ ব্যাপার।আমি মাননীয় পানি সম্পদ মন্ত্রীর সাথে কথা বলে তিস্তার ভাঙ্গনরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানাবো।