রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের গাবুরহেলান গ্রামের তিস্তা নদীর তীর ঘেষে খাচায় মৎস্য চাষ করে লাভবান হচ্ছেন মৎস্যচাষীরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় বিদ্যানন্দ খাচায় মৎস্যচাষী সমবায় সমিতি লিঃ এর ২০ জন সদস্য যৌথভাবে তিস্তা নদীর তীরে মুক্ত পানিতে খাচায় তেলাপিয়া মাছ চাষ করেছেন।রঙ্গিন নেট জাল বেষ্টিত প্লাস্টিকের ড্রাম,বাশ ও লোহার পাইপ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে ছোট ছোট খাচা।খাচার ভিতরে চাষ করা হচ্ছে হাইব্রিড তেলাপিয়া মাছ।সমবায় অধিদপ্তর থেকে সমিতি টি রেজিষ্ট্রেশন প্রাপ্ত হন রেজি নং ৪৯/২১ এই বছরের মার্চ মাসে।গত বছর পরিক্ষামূলক তেলাপিয়া মাছ খাচায় চাষ করেন সমিতির সদস্যবৃন্দ।পরিপূর্ণ অভিজ্ঞতা না থাকায় জাল ছিড়ে অনেক মাছ নদীতে চলে যায়।তাছাড়া খাচার সংখ্যা কম থাকায় তেমন লাভ করতে পারেনি।এই বছরের শুরুতে সমিতির সভাপতি ফৈজুর রহমান রাজারহাট উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা আরিফুল ইসলামের নিকট সরকারী সহায়তার জন্য আবেদন করলে ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে সাড়ে তিন লক্ষ টাকার বরাদ্দ দেওয়া হয় সমিতিকে।এছাড়াও ১২.৫ মণ তেলাপিয়া মাছের পোনা ও মাছের খাদ্য হিসেবে ২ টন ফিড সমিতিকে দেওয়া হয়।
বরাদ্দকৃত অর্থ দিয়ে ২০টি খাচা তৈরি করে মাছ চাষের জন্য প্রস্তুত করা হয়।
বিদ্যানন্দ খাচায় মৎস্যচাষী সমবায় সমিতি লিঃ এর সভাপতি ফৈজুর রহমান বলেন আটষট্রি হাজার টাকা দিয়ে আমরা যাত্রা শুরু করি আজ সরকারী সহায়তা পেয়ে আমরা দারুণ উপকৃত হয়েছি।এবছর মাছ বিক্রি করে দুই লক্ষাধিক টাকা লাভ হবে বলে আশা করছি।তবে সমিতির সদস্য সংখ্যা ২০জন হওয়ায় লাভের ভাগ বেশী হবেনা।তাই আমি সরকারের কাছে জোর আবেদন করি আমার সমিতিকে আগামী অর্থ বছরে যেন বরাদ্দের পরিমাণ বৃদ্ধি করে দেন।তবেই ২০টি পরিবার সাবলম্বী হতে পারবো।
এবিষয়ে রাজারহাট উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আরিফুল আলম বলেন আমি খাচায় মৎস্যচাষ পরিদর্শনে কয়েকবার গাবুর হেলানে গিয়েছি ওখানে আমি মৎস্যচাষীদের মধ্যে একটা সম্ভবনা দেখতে পেয়েছি।ইতিমধ্যে আমার দপ্তর থেকে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা,সাড়ে ১২ মণ তেলাপিয়া মাছের পোনা ও মাছের খাদ্য হিসেবে ২ টন ফিড সরকারী সহায়তা দেওয়া হয়েছে।সমিতির ২০টি পরিবার যাতে খাচায় মৎস্যচাষ করে সাবলম্বী হতে পারে সেবিষয়ে আমার উর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে তাদের সব ধরনের সহযোগীতা করার চেষ্টা করবো।