কচুয়া উপজেলার দারাশাহী-তুলপাই গ্রামে শত্রæতার জের ধরে রাতের আধারে বেশকিছু মেহগনি গাছের চারা উপরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জায়গার মালিক মো. আজিজুর রহমান পাটওয়ারী গং ও এলাকাবাসী তীব্র নিন্দা এবং ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
সরেজমিনে দারাশাহী-তুলপাই গ্রামের অধিবাসী ও দারাশাহী-তুলপাই বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. মজিবুর রহমান পাটওয়ারী জানান, আমাদের বাড়ি সংলগ্ন পশ্চিম পাশে ৬শতাংশ ভ‚মির উপর প্রায় ৬ বছর পূর্বে মেহগনিসহ বিভিন্ন জাতের চারা রোপন করি। ৪ বছর পূর্বেও আরেক বার কে বা কাহারা আমাদের জায়গায় রোপনকৃত গাছের চারা নষ্ট করে ক্ষতিসাধন করে। এরই ধারাবাহিকতায় আবারো গত বৃহস্পতিবার রাতে উল্লেখিত স্থানে প্রায় ৪ বছর আগে লাগানো ৭/৮টি মেহগনি জাতের মূল্যবান গাছ মূলসহ উপরে ফেলে দেয়। আমাদের জমি সংলগ্ন প্রবাসী শহীদ পাটওয়ারীর বাড়ি। তিনি আমাদের ও অন্যান্যদের জমিতে প্রবেশ পথ না রেখে তার সীমানা দখল করে দেয়াল নির্মাণ করেন। আমার ধারনা প্রবাসে থেকে শহীদ পাটওয়ারী এলাকার কোনো ব্যক্তিকে দিয়ে হয়তবা আমাদের গাছের গুলো নষ্ট করতে পারেন। আমি তদন্তপূর্বক দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবি জানাই।
স্থানীয় অধিবাসী নুরুল ইসলাম পাটওয়ারী ও রবিউল আলম বলেন, উল্লেখিত ওই জায়গায় মৃত. এমএ ওয়াদুদ পাটওয়ারীর ৫ সন্তানের দখলে রয়েছে। আজিজুর রহমান পাওয়ারী গংরা তাদের জায়গায় বিভিন্ন জাতের গাছের চারা রোপন করেছেন বলে আমরা জানি। এলাকাবাসী জানান, প্রবাসী শহীদ পাটওয়ারী তার সীমানা পর্যন্ত সামান্য জায়গা রেখে দেয়াল নির্মাণ করে বাড়ি নির্মাণ করেন। ফলে অন্যান্য বাড়ির লোকজন দেয়ালের কারনে ভালো ভাবে যাতায়াত করতে পারছেন না।
এদিকে প্রবাসী শহীদ পাটওয়ারী গাছের চারা গুলো লোক মারফত নষ্ট করেছেন এমন সন্দেহের অভিযোগ অস্বীকার করে তার স্ত্রী সালমা বেগম বলেন, গত বুধবার পর্যন্ত আজিজুর রহমান পাটওয়ারীদের রোপনকৃত গাছের চারাগুলো দেখেছি। কে বা কাহারা এ চারা গুলো নষ্ট করেছে তা আমরা জানি না। তবে যারা চারা গুলো নষ্ট করেছে আমিও এর সঠিক তদন্তপূর্বক বিচার চাই। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের পক্ষ থেকে কচুয়া থানায় অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
কচুয়া: কচুয়ার দারাশাহী-তুলপাই গ্রামে আজিজুর রহমান পাটওয়ারীর রোপনকৃত গাছের চারা উপরে ফেলে দুর্বৃত্তরা।