শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ১২:২২ অপরাহ্ন
শিরোনাম
শিরোনাম
দাকোপ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন কে সামনে রেখে গনসংযোগ করেছেন প্রার্থী আলহাজ্ব শেখ যুবরাজ মিরসরাইয়ে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার মিন্টুর লাশ দুবাই থেকে দেশে আনতে পরিবারের আকুতি পাঁচবিবিতে চেয়ারম্যান প্রার্থী শিখার পক্ষে কাজ না করতে নেতাকর্মীদের জেলা বিএনপির নির্দেশ পাঁচবিবিতে বোরো ধান চাল সংগ্রহের শুভ উদ্বোধন ঠাকুরগাঁওয়ে বালিয়াডাঙ্গীতে সর্বজনীন পেনশন স্কিম মেলা অনুষ্ঠিত ক্যান্সার আক্রান্ত স্কুলছাত্রের চিকিৎসা সহায়তায় এগিয়ে এলেন সুন্দরবন নিউজ টিম পূবাইলে কথা-কাটাকাটি জেরে,ভাড়াটিয়া পরিবারকে হত্যার চেষ্টা,নারী-বৃদ্ধসহ আহত ৬ কুড়িগ্রামে দুটি ইটভাটার বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান; একটিকে জরিমানা অপরটি বন্ধ ঘোষণা পাঁচবিবি দারুল ইসলাহ একাডেমীর শিক্ষার্থীদের সাফল্য কুমিল্লায় চাকরির বয়সসীমা ৩৫ দাবিতে মানববন্ধন দাকোপে গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ডের অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত ৬ বছরের কন্যা শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে ১৪ বছরের এক কিশোরকে আটক কুড়িগ্রামে পুকুরের পানিতে খেলতে গিয়ে প্রাণ গেল দুই শিশুর বকশীগঞ্জে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে প্রাণ গেল জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী’র
বিজ্ঞপ্তি :
বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রানালয়ে আবেদনকৃত।

আইয়্যামে জাহেলিয়াতকেও হার মানিয়েছে-দৈনিক বাংলার অধিকার 

সোনাগাজী প্রতিনিধি / ১১৯ সংবাদটি পড়েছেন
প্রকাশ: শনিবার, ২৮ আগস্ট, ২০২১, ১০:৪১ অপরাহ্ণ

বলাৎকারের ঘটনা প্রকাশের ভয়েই মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের মেধাবী ছাত্র আরাফাতকে হত্যা

ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসা ছাত্র আরাফাত হোসেনকে (৯) হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন মাদ্রাসার মুহতামিম মোশারফ হোসেন (৪২)।

বৃহস্পতিবার বিকালে ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইনের আদালতে তার জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করা হয়।

আদালাতে মুহতামিম মোশারফ হোসেন জানান, আরাফাতকে বলাৎকারের পর ঘটনা প্রকাশ হয়ে যাওয়ার ভয়েই হত্যার পথ বেছে নেন তিনি।

১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে হত্যার কথা স্বীকার করে এই মাদ্রাসা শিক্ষক বলেন, এর আগেও তিনি আরাফাতকে বলাৎকার করেছেন। কিন্তু ২১ আগস্ট রাতে বলাৎকারের পর আরাফাত বিষয়টি তার পিতাকে বলে দেবে বলে জানায়। এরপর তিনি তাকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেন। একপর্যায়ে গলা টিপে আরাফাতকে হত্যা করে লাশ মাদ্রাসা সংলগ্ন ডোবায় ফেলে দেন।

মোশারফ হোসেন উপজেলার চরমজলিশপুর ইউনিয়নের চরলক্ষীগঞ্জ হাফেজ সামছুল হক (র.) নুরানী হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার মুহতামিম। তার বাড়ী ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায়।

অন্যদিকে নিহত আরাফাত একই মাদ্রাসা ও এতিমখানার ছাত্র এবং চরমজলিশপুর ইউনিয়নের ছয়আনি গ্রামের নাজের কোম্পানী বাড়ির ফানা উল্লাহর ছেলে।

গত ২২ আগস্ট ভোর ৪টার দিকে মাদ্রাসাছাত্র আরাফাত হোসেনকে হত্যা করে মাদ্রাসা সংলগ্ন একটি ডোবায় লাশ ফেলে দেওয়া হয়। ওইদিন সকালে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন থাকায় আরাফাতের পিতা বাদী হয়ে এ ঘটনায় মুহতামিমসহ ৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। ওই দিন রাতেই মাদ্রাসায় অভিযান চালিয়ে মুহতামিম মোশারফ হোসেন ও আরাফাতের এক সহপাঠীসহ এজহারে উল্লেখ থাকা আরও দুই শিক্ষককে গ্রেফতার করে পুলিশ।

গত সোমবার মুহতামিম মোশারফ হোসেনকে ৪ দিনের, সহকারী শিক্ষক আজিম উদ্দিন ও নুর আলীকে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। একই সঙ্গে গ্রেফতারকৃত জোবায়ের আলম ফাইজকে গাজীপুর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর আদেশ দেশ আদালত।

দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমতিয়াজ আহমেদ দৈনিক বাংলার অধিকার কে জানান, ৪ দিনের রিমান্ড শেষে মুহতামিমকে আদালতে পাঠানো হয়। তিনি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. জুয়েল বলেন, মুহতামিমের দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি যাচাইবাছাই করা হচ্ছে। তার স্বীকারোক্তিতে প্রদান করা তথ্য অসংলগ্ন মনে হলে পুনরায় রিমান্ডের আবেদন করা হবে।


এ বিভাগের আরও সংবাদ

আর্কাইভ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Don`t copy text!
Don`t copy text!